খেলাধুলা

বিশ্বকাপেই তাসকিনকে চায় বাংলাদেশ

অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায়ে আইসিসির নিষেধাজ্ঞার খড়গে পড়েছেন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা পেসার তাসকিন আহমেদ। তবে তাসকিন আইসিসি থেকে সঠিক বিচার পাননি বলে ধারণা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। তাই খুব শিগগিরই তাসকিনকে ফিরিয়ে আনতে আইসিসির কাছে আপিল করবে বিসিবি। শুধু তাই নয়, চলতি বিশ্বকাপেই তাকে ফিরে পেতে ভিভিন্ন উপায় খুঁজছে বিসিবি। এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন।রোববার নিজ বাস ভবনে বিসিবি প্রধান বলেন, ‘তাসকিনের যে রিপোর্ট তারা দিয়েছে, এটা নিয়ে সন্তুষ্ট হওয়ার কোনো কারণ নেই। আজ সকালে আইসিসি চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর, সিইও ডেভিড রিচার্ডসনের সাথে কথা হয়েছে। তারা আইনজীবী দলের সঙ্গে বসেছে। আমরা খুব শীঘ্রই এর সমাধান চেয়েছি।’আইসিসির নিয়মানুযায়ী সাত দিনের মধ্যে আপিলের সুযোগ আছে তাসকিনের। এই সময়ের মধ্যেই তাকে ফিরিয়ে আনতে মরিয়া বিসিবি। এ প্রসঙ্গে পাপন আরও বলেন, ‘আমরা বেশকিছু যুক্তি দিয়ে নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করার কথা বলেছি। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ক্ষমতা তাদেরই আছে। কখনও সিদ্ধান্ত পাল্টে যাওয়া দেখিনি। তবে তাসকিনের ব্যাপারে আমি আশাবাদী। সামান্য হলেও সম্ভাবনা রয়েছে’উল্লেখ্য, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশের পেসার তাসকিন আহমেদ এবং স্পিনার আরাফাত সানির বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন দুই অনফিল্ড আম্পায়ার এস রবি এবং রড টাকার। এর পরদিন আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে অভিযোগ তোলে আইসিসিও।এরপর গত ১২ মার্চ সানি ও ১৫ মার্চ তাসকিন চেন্নাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেকানিক্যাল সেন্টারে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়ে আসেন। সানির পরীক্ষার ফলাফল এক সপ্তাহ পর দিলেও তাসকিনের ফলাফল পাওয়া যায় চার দিনের মাথায়। এতে নিষিদ্ধ হন দু’জনই। কিন্তু আইসিসির রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর দেখা গেছে তাসকিনের পরীক্ষা এবং রিপোর্ট তৈরীতে যথাযত প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে, ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন বাংলাদেশের পেসার তাসকিন।আরটি/আইএইচএস/পিআর

Advertisement