দেশজুড়ে

ছেলের হত্যাকারীদের ফাঁসি দেখতে চান মাহাবুবুর রশিদের বাবা-মা

ছেলের হত্যাকারীদের ফাঁসির রায় কার্যকরের অপেক্ষায় আছেন ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত কুষ্টিয়ার মাহাবুবুর রশিদের বৃদ্ধ বাবা-মা। মাহাবুব তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তাকর্মী ছিলেন।

Advertisement

মাহাবুবুর রশিদের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার জয়ন্তী হাজরা ইউনিয়নের ফুলবাড়ী গ্রামে। রোববার (২০ আগস্ট) সরেজমিন গিয়ে বাড়িতেই পাওয়া যায় তার বৃদ্ধ মা হাসিনা বেগম (৭৫) ও বাবা হারুন অর রশিদকে (৮৫)।

তারা জানালেন, মাহাবুব সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। তার অবর্তমানে বাবা-মা এখন অসহায় দিনযাপন করছেন। বার্ধক্যজনিত রোগের কারণে মাসে ১৫-১৬ হাজার টাকার ওষুধ লাগে মাহাবুবের বৃদ্ধ বাবা-মার। মেয়ের পাঠানো টাকা ও গাভীর দুধ বিক্রি করে তাদের সংসার চলে। এ টাকারই একটা অংশ জমিয়ে প্রতিবছর ছেলের শাহাদতবার্ষিকী পালন করেন। মাঝেমধ্যে মন চাইলে ছেলের কবরের পাশে কিছু সময় দাঁড়িয়ে থাকেন। আর আল্লাহর কাছে রায় বাস্তবায়নের দোয়া করেন।

কেমন আছেন জানতে চাইলে বৃদ্ধ হারুন অর রশিদ বলেন, অনেক দিন রায় হয়েছে কিন্তু খুনিদের শাস্তি বাস্তবায়ন হলো না। তবুও মরার আগে খুনিদের শাস্তি ফাঁসির রায় বাস্তবায়ন দেখতে চাই।

Advertisement

বৃদ্ধা হাসিনা বেগম বলেন, ছেলের মৃত্যুর সংবাদ শোনার পর বুকের মধ্যে কাঁপুনি শুরু হয়। বয়সের কারণে শরীরটা ভালো যাচ্ছে না। এই মাস আসলেই (আগস্ট) বুকের কাঁপুনি বেড়ে যায়। তিনিও আশায় বুক বেঁধে আছেন ছেলের হত্যাকারীদের ফাঁসির রায় কার্যকর হবে।

১৯৬৮ সালে মাহাবুবুর রশিদের জন্ম। প্রাথমিক পড়েছিলেন গ্রামের স্কুলে। পাংশার হাবাসপুরের একটি স্কুলে মাধ্যমিক পড়েছেন। এরপর যোগ দেন সেনাবাহিনীতে। অবসর নেন ২০০১ সালে। কিছুদিন পর তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত ড্রাইভার পদে যোগদান করেন।

বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করে অল্প সময়ের মধ্যে তার নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে পদোন্নতি পান। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয় আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহত হন মাহাবুবুর রশিদ ।

আল মামুন সাগর/এমআরআর/জেআইএম

Advertisement