জাতীয়

আইওএফএসের সদস্য দেশগুলোর খাদ্য সংকট নিরসন চায় ব্রি

ধানের জাত উদ্ভাবন, উৎপাদন এবং চাষাবাদ ব্যবস্থাপনায় ইসলামি সহযোগিতা সংস্থাভুক্ত (ওআইসি) এশীয় এবং আফ্রিকার মুসলিম দেশের বিজ্ঞানীদের দক্ষতা বাড়াতে তিনদিনের এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা রোববার (২০ আগস্ট) গাজীপুরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে (ব্রি) শুরু হয়েছে।

Advertisement

ইসলামিক অর্গানাইজেশন ফর ফুড সিকিউরিটির (আইওএফএস) উদ্যোগে ও ব্রির সহযোগিতায় আয়োজিত এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় আইওএফএসের সদস্য দেশ মিশর, সেনেগাল, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, কাজাখস্থান, উগান্ডা, সুরিনাম ও ওমানসহ ৮টি দেশের ১০ জন বিজ্ঞানী অংশ নেন।

প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ফুড প্ল্যানিং ও মনিটরিং ইউনিটের মহাপরিচালক এবং অতিরিক্ত সচিব মো. মমতাজ উদ্দিন, এনডিসি। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীরের সভাপিতত্বে কর্মশালায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক অর্গানাইজেশন ফর ফুড সিকিউরিটির মহাপরিচালক ড. ইয়ারলান এ. বাইদাউলেট। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রির পরিচালক গবেষণা ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান এবং ড. মো. আব্দুল লতিফ, পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা), ব্রি।

আইওএফএস সদস্য দেশগুলোতে ব্রি উদ্ভাবিত আধুনিক ধান উৎপাদন প্রযুক্তি সরবরাহ এবং ধান চাষাবাদ ব্যবস্থাপনায় তাদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করাই এ প্রশিক্ষণের অন্যতম উদ্দেশ্য।

Advertisement

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অতিরিক্ত সচিব মমতাজ উদ্দিন বলেন, পর্যাপ্ত আবাদি জমি ও সম্পদ থাকা সত্ত্বেও শুধু প্রযুক্তিজ্ঞানের অভাবে এশিয়া ও আফ্রিকার অনেক দেশ খাদ্য সংকটে ভুগছে। এসব দেশের মানুষকে বাংলাদেশের ধানের জাত উদ্ভাবন এবং চাষাবাদ ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তিতে দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানো গেলে তাদের খাদ্য সংকট লাঘব করা সম্ভব হবে।

সভাপতির বক্তব্যে ব্রির মহাপরিচালক ড. শাহজাহান কবীর বলেন, আমাদের দক্ষ বিজ্ঞানী, উন্নত প্রযুক্তি ও মানবসম্পদ রয়েছে। এ কারণে আমরা খাদ্যে স্বনির্ভরতা অর্জন করতে পেরেছি। মুসলিম বিশ্বের সার্বিক উন্নয়নে ও আইওএফএসের সদস্য দেশগুলোর খাদ্য সংকট নিরসনে আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা, প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ নিয়ে তাদের পাশে থাকতে চাই। এ লক্ষ্যেই প্রশিক্ষণে তাদের সহায়তা করছি। ভবিষ্যতে এ ধরনের সহায়তা বাড়াতে ব্রি ও আইওএফএস দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা স্মারক সই করার লক্ষ্যে কাজ করছে।

এনএইচ/এমকেআর/এমএস

Advertisement