এ বছর ডেঙ্গুর গন্তব্য কোথায় গিয়ে থামবে, সেটি স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, আমরা দেখেছি, যে কোনো ‘প্যান্ডেমিক’ একটি নির্দিষ্ট সময় শুরু হয়, একটি নির্দিষ্ট গন্তব্যে গিয়ে শেষ হয়। তবে এ বছর ডেঙ্গুর গন্তব্য কোথায় গিয়ে থামবে, সেটি স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না
Advertisement
রোববার (২০ আগস্ট) বেলা আড়াইটায় দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন, অধিদপ্তর পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন।
আরও পড়ুন>শারফুদ্দিন আহমেদ/মৃত্যুঝুঁকি না থাকলে ডেঙ্গু টিকা ট্রায়াল করতে চায় বিএসএমএমইউ
তিনি বলেন, এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের ২৯ থেকে ৩০ সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত ছিল ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে। এরপরই ঢাকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত কমতে শুরু করেছে। তবে ৩১-৩২ সপ্তাহে ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেশি পাওয়া গেছে। দেশে ডেঙ্গুর ৩৩তম সপ্তাহে এসে ঢাকার পাশাপাশি ঢাকার বাইরেও সংক্রমণ কিছুটা নিম্নমুখী। যার প্রভাবে রাজধানীসহ সারাদেশের হাসপাতালগুলোতেই রোগীর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে।
Advertisement
ডা. শাহাদাত বলেন, ঢাকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের জন্য ২৬শর বেশি ডেডিকেটেড শয্যা রয়েছে। কিন্তু সবমিলিয়ে রাজধানীতে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে ১ হাজার ৯৭৪ জনের মতো। তার মানে হলো এখনও বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ছয় শতাধিক ডেঙ্গু শয্যা ফাঁকা পড়ে আছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছে ঢাকা মেডিকেলে, ৩১৫ জন। এরপরই মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অবস্থান।
আরও পড়ুন> ডেঙ্গুতে আরও ১৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১৯৮৩ রোগী
ডা. শাহাদাত বলেন, আমরা যেখান থেকে ঢাকা সিটিতে ডেঙ্গু আক্রান্তের হার কমছে। গত এক সপ্তাহে ডেঙ্গুতে ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আমরা দেখছি, নারীদের তুলনায় পুরুষরা বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে। ডেঙ্গুতে পুরুষদের আক্রান্তের হার ৬২ দশমিক ৪ শতাংশ হলেও নারীদের আক্রান্তের হার ৩৭ দশমিক ৬ শতাংশ। তবে আশঙ্কাজনক বিষয় হলো আক্রান্তে পুরুষরা এগিয়ে থাকলেও ডেঙ্গুতে পুরুষের তুলনায় নারীদের মৃত্যু বেশি হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর পরিসংখ্যান যদি আমরা দেখি, ৪৬ জন নারীর বিপরীতে পুরুষ মারা গেছে ৩৩ জন। তার মানে ডেঙ্গু আক্রান্ত নারীদের প্রতি আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।
Advertisement
এএএম/এসএনআর/জিকেএস