মতামত

বাংলাদেশের অভিশাপ হয়ে এসেছিল জামায়াত-বিএনপি জোট

 

জঙ্গিবাদ দমন নিয়ে আন্তর্জাতিক কূট রাজনীতির অংশ হিসেবে দীর্ঘ দিন ধরেই এক কূট রাজনীতি করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দুনিয়া। এ এক ভয়ঙ্কর খেলা যা দীর্ঘ তিন ধরেই চলছে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। তাদের সেই খেলার শিকার আফগানিস্তান, সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেন সহ আরও বহু দেশ।

Advertisement

পশ্চিমা হস্তক্ষেপের সবচেয়ে বেশি শিকার হয়েছে ইসলামি দুনিয়া। কার্যকরভাবে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাদের অতীত মোটেই ভালো নয়। পশ্চিমারা জঙ্গিবাদীদের নিরাপদ আশ্রয় দিয়েছে। তারাই ইসলামের বদনাম করেছে। ২০১৭ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান বলেছিলেন, ‘সৌদি আরব ইউরোপীয়দের চেয়ে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে বেশি আগ্রহী।’

জঙ্গিবাদ নিয়ে পশ্চিমা দোটানায় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বাংলাদেশও। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইইউ এর কর্মকাণ্ড এ ক্ষেত্রে উদ্বেগ আরও বাড়াচ্ছে। অতি-ডানপন্থী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নির্বাচনী মাঠে ফিরিয়ে আনতে চায় তারা। সুপ্রিম কোর্ট দেশের সংবিধান মেনে ২০১৩ সালের জামায়াতের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করেছিল। অথচ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ছয় সদস্যের একটি নির্বাচনী অনুসন্ধানী মিশন সম্প্রতি ঢাকায় জামায়াত নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছে। শুধু তাই নয়, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মানবাধিকারের অজুহাতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে জামায়াত ইসলামকে সুযোগ করে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

হিংস্র দানবকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা

Advertisement

বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী দলটি দক্ষিণ এশিয়ার খ্রিস্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ, আহমদী ও শিয়া মুসলমানদের উপর নৃশংসতার জন্য দায়ী। পাকিস্তানের অঙুলিহেলনে বাংলাদেশে জামায়াত চরমপন্থার স্নায়ু কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে। তারা ১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিরোধিতা করেছিল। তাদের সহযোগী সংগঠন আল-বদর এবং আল-শামসের সঙ্গে তারাও পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মিলিশিয়া হিসেবে কাজ করে এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রায় ত্রিশ লাখ বাঙালিকে হত্যা করে। আরও কয়েক লাখ নারী তাদের জন্যই ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।

বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামী আগে জামায়াত-ই-ইসলামী বাংলাদেশ নামে পরিচিত ছিল। তাদের কুখ্যাত ছাত্র ফ্রন্ট ইসলামী ছাত্র শিবির পাকিস্তানী সমর্থনে প্রতিষ্ঠিত এবং পরিচালিত। তারা পাকিস্তান থেকে যথেষ্ট অর্থ সহায়তা পেয়েছে। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বেশিরভাগ শীর্ষস্থানীয় জামায়াত নেতা পাকিস্তানে পালিয়ে গিয়েছিলেন। ১৯৭৫ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যেকার ১৫ বছরের দীর্ঘ সামরিক শাসনের সময় তারা বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফের প্রতিষ্ঠিত হয়। মূলত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশে পুনরায় বপন করা হয় সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বীজ। যা থেকে জন্ম নেয় জঙ্গিবাদ।

সামরিক শাসক মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান (১৯৭৭-১৯৮১) ছিলেন জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী। তিনি ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক কাঠামো ধ্বংস করারও পথপ্রদর্শক ছিলেন। সুইডিশ গবেষক বার্টিল লিন্টনারের মতে, জিয়াউর রহমান তার নিজস্ব বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপির সঙ্গে একত্রে একটি শক্তিশালী আদর্শিক শক্তি তৈরি করতে জামায়াতকে পুনরুজ্জীবিত করে তুলেছিলেন। তিনি পাকিস্তানে বসবাসকারী জামায়াত নেতাদের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেন। বাংলাদেশের সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দটিও বাদ দেন।

জিয়াউর রহমান জামায়াতকে পাকিস্তান থেকে নতুন মৌলবাদী ধ্যান-ধারণা আমদানিরও সুবিধা করে দেন। সামরিক শাসক এইচ এম এরশাদ (১৯৮৩-১৯৯০) দেশে জামায়াতকে তার কট্টরপন্থী ইসলাম প্রচারে সহায়তা করেছিলেন। জিয়াউর রহমানের বিধবা স্ত্রী ও বর্তমান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ১৯৯১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে একই প্রক্রিয়া বজায় রাখে।

Advertisement

জিয়ার শাসন আমলে পুনরুজ্জীবন লাভ করা জামায়াত অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে খালেদা জিয়ার ছত্রছায়ায়। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর, বিশেষ করে বৃহত্তম সংখ্যালঘু গোষ্ঠী হিন্দুদের উপর আক্রমণের ঘটনা বাড়াতে থাকে। ২০১৩ সালে এই ধরনের প্রাণঘাতী হামলার সর্বশেষ ঘটনা ঘটেছিল। সুপ্রিম কোর্ট তাদের নির্বাচনী রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করার আগে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জামায়াতের উপর প্রবলভাবে চাপ সৃষ্টি করেন।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও সংখ্যালঘুদের ওপর জামায়াতের ছাত্র সংগঠন শিবিরের অত্যাচারের বিষয়ে অবগত। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)-এর বিভিন্ন প্রতিবেদনে এই দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর চলা রাষ্ট্রীয় অত্যাচারের চিত্র দেখলেই বোঝা যায় বিষয়টি। যদিও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হলে এই উভয় প্রতিষ্ঠান জামায়াত ইসলামের নিয়োগ করা লবিস্টদের কল্যাণে অবস্থান নেয় জামায়াত ইসলামের পক্ষে। কী অদ্ভুত বিষয়টি?

জামায়াতের জঙ্গিবাদী নেটওয়ার্ক১৯৮০ থেকে ২০০৮ সাল, প্রায় তিন দশক বাংলাদেশ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছিল। ১৯৭৫ থেকে ১৯৯০ সামরিক শাসকদের সমর্থনে এবং তারপরে বিএনপি-জামায়াত জোট বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার যথাসাধ্য চেষ্টা করে। আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসের উত্তপ্ত স্থান হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ। হুজি-বি আশির দশকের শেষের দিকে বাংলাদেশী মুজাহিদিনের সদস্যদের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তারা আফগানিস্তানে মার্কিন-পৃষ্ঠপোষকতায় জিহাদেও অংশ নিয়েছিল। আল-কায়দার সঙ্গেও সংগঠনটির দৃঢ় সম্পর্ক ছিল তাদের।

আওয়ামী লীগের ধর্মনিরপেক্ষ-গণতান্ত্রিক কণ্ঠকে ধ্বংস করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল হুজিকে। জামায়াত ও তাদের রক্ষক বিএনপির নির্দেশে হুজি ২০০৪ সালের আগস্টে শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যা করে। ২০০১ সালের এপ্রিলে বাংলা নববর্ষ উদযাপনের সময় ঢাকার রমনা বটমূলে বোমা হামলাতেও তারা জড়িত ছিল। শেখ হাসিনাকে প্রাণে মারার লক্ষ্যে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে যান।

জামায়াতের সহযোগী হিসাবে ১৯৯৮ সালে উঠে আসে জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)। ২০০৫ সালের আগস্টে একাধিক বোমা হামলা চালায় তারা। গণতন্ত্র ও আইনের শাসন রক্ষাকারী বিশিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা, বিচারক এবং শিক্ষাবিদদের তারা লক্ষ্যবস্তু হিসাবে বেছে নিয়ে হামলা চালায়।

২০০১-২০০৬ সালের বিএনপির শাসনামল বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদী রাষ্ট্র ঘোষণার দিকে ঠেলে দেয়। সেই সময়কালে ভারতের উত্তর-পূর্ব থেকে আসা জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীগুলোকে ঢাকা প্রকাশ্যে আশ্রয়, অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। খালেদা জিয়ার মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসাবে জামায়াতই ছিল পুরো অপারেশনের মূল পরিকল্পনাকারী। সতর্ক ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বৈশ্বিক নিরাপত্তা ফোরামে বিষয়টি তুলে ধরে। ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হয় ১০ ট্রাক অস্ত্র। ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাহায্য করার উদ্দেশ্যে তৎকালীন সময় সরাসরি তৎকালীন সরকারের সহায়তায় এই অস্ত্র মিশর থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয় বলে পরবর্তীতে জানা যায়। এই অস্ত্র উদ্ধারের সঙ্গে জড়িত সূত্রগুলো জানায়, তৎকালীন ক্ষমতায় থাকা বিএনপি জামায়াত জোটের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান সরাসরি এই ১০ ট্রাক অস্ত্র নিয়ে আসায় জড়িত ছিলো। আর এই ১০ ট্রাক অস্ত্র চট্টগ্রামের যেই নোঙ্গরে খালাস হয় তার দায়িত্বে ছিলে জামায়াত ইসলামের আমীর মতিউর রহমান নিজামী। সুতরাং এটিও স্পষ্ট যে, জামায়াতের সরাসরি সংশ্লিষ্টতা ছিলো এই ১০ ট্রাক অস্ত্র বাংলাদেশে নিয়ে আসায়।

আবারও জামায়াত-বিএনপি জোট২০০১-০৬ সালে জামায়াত বিএনপি সন্ত্রাসী তাণ্ডব এই দেশকে শত বছর পিছিয়ে দিয়েছিলো। বিশেষত তাদের ছড়িয়ে দেয়া সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের বিষ-বাষ্প আজও ঘুরে বেড়াচ্ছে দেশের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে। ধারণা করা হয়েছিলো জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের যুদ্ধাপরাধী হিসেবে সাজা প্রাপ্ত হবার বিষয়ে বিএনপির নিষ্ক্রিয় ভূমিকার কারণ বেশ দূরত্ব তৈরি হয়েছিলো এই দুই দলের মধ্যে। কিন্তু ২০১৮ সালের নির্বাচনেও জামায়াত নেতাদের বিএনপির সঙ্গেই নির্বাচন করতে দেখা যায়। অন্যদিকে বিএনপির বিভিন্ন নেতারা তাদের বক্তব্যেও বলেন, জামায়াত বিএনপি একই মায়ের পেটের যমজ দুই ভাই। এত কিছুর পরও সম্প্রতি জামায়াত-বিএনপির মধ্যে যেই দূরত্ব ছিলো তা অনেকটাই হ্রাস হয়েছে জামায়াতে ইসলামের সিনিয়র নায়েবে আমির দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মৃত্যুর পর। এই শীর্ষ জামায়াত নেতার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে লন্ডনে পলাতক আসামী বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের বিবৃতি ও দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বিবৃতি জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ককে আবারও চাঙ্গা করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে, বিএনপি যেই কাজটি করতে পারেনি, সেই জ্বালাও-পোড়াও এর রাজনীতি আবারও জামায়াতের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে চায় বিএনপি, যার এক প্রমাণ সাঈদীকে চিকিৎসা প্রদান করা বিএসএমএমইউ হাসাপাতালের ফটক। এবারও জামায়াতের কাঁধে বন্দুক রেখে গুলি চালাতে চায় বিএনপি।

পাকিস্তান থেকে শিক্ষাগত ১৫ বছরে বাংলাদেশে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। পদ্মা সেতুসহ দেশটি অভূতপূর্ব অবকাঠামো নির্মাণ কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করেছে। অর্থনীতির আকার প্রায় পাঁচ গুণ বেড়েছে। মাথাপিছু আয় আগের চেয়ে দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে।

জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রস্থল থেকে ঢাকা আজ দক্ষিণ এশিয়ায় সহযোগিতামূলক উন্নয়নের অনুপ্রেরণা। বর্তমান সরকার ভুটান-বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল (বিবিআইএন) অঞ্চলে অর্থনৈতিক মৌলিক বিষয়গুলিকে শক্তিশালী করতে এবং শ্রীলঙ্কার কঠিন সময়ে সাহায্য করার জন্য ভারতের সঙ্গে অবিচলভাবে কাজ করছে। কিন্তু জামায়াতের পুনরুজ্জীবন প্রবৃদ্ধির গতিকে বিপর্যস্ত করতে পারে। জামায়াত ইসলামীর তৃণমূল থেকে এরই মধ্যে সহিংসতার আহ্বান জানানো হচ্ছে আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে।

আশির দশকে, কাবুলে সোভিয়েত-সমর্থিত মোহাম্মদ নজিবুল্লাহ আহমদজাই সরকারের পতন ঘটাতে আফগানিস্তানে মুজাহিদিন বা জিহাদি বাহিনী গড়ে তোলার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে মদদ দিয়েছিল। তাদের কারণেই ১৯৯২ সালে নজিবুল্লাহকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এক দশকের মধ্যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগান তালেবানদের সঙ্গে যুদ্ধে নামে। পরবর্তী ২০ বছরে আফগানিস্তান ব্যাপক দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতি ভোগ করে। শেষ পর্যন্ত আমেরিকা কাবুল ছেড়ে দেয় তালেবানদের হাতে। প্রকৃত অর্থে আফগানিস্তানের ওপর যে অবস্থায় চেপে বসেছিলো যুক্তরাষ্ট্র, তার থেকেও বাজে অবস্থায় আফগানিস্তানকে ফেলে রেখে যায় তারা। একই অবস্থা ইরাক ও লিবিয়ার।

যুক্তরাষ্ট্র যখন তালেবানদের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানে অবস্থান নেয়, তার আগেই জিহাদিরা পাকিস্তান ও বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর বাংলাদেশে তাদের দমন করতে সক্ষম হলেও পাকিস্তান পারেনি। পাকিস্তানি তালেবানের আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীরা তাই ইসলামাবাদকে প্রতিনিয়ত বিপাকে ফেলছে। এই পরিস্থিতিতে জামায়াতকে সমর্থন অবশ্যই বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগজনক।

লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট।

এইচআর/এমএস