সাহিত্য

চিরতরে ছুটি এবং অন্য কবিতা

জান্নাতুল নাঈম

Advertisement

তোমায় চিরতরে ছুটি দিলামপথে-প্রান্তরে অভিমানের ছুরির ফলা রেখেছিতোমার দিকটায় আর যাওয়া হবে নাহৃদয় উত্তাল ঝড়ে আছড়ে পড়লেওতবুও আর কখনো ডাকবো না।

তোমায় চিরতরে ছুটি দিলামআষাঢ় জোয়ারে ভেসে বনভূমির মতো হয়েছিকান্নার বৃষ্টিতে মন ভিজিয়ে নিয়েছিএইবার যদি শুষ্কতায় হৃদয় তৃষ্ণায় ফেটে যায়তবু পৃথিবীর বুকে ডাকবো না।

তোমায় চিরতরে ছুটি দিলামঅখণ্ড নির্জনতাকে বরণ করে নিলামদুঃখ দরজায় এঁটে তোমার মুখ আড়ালে গেলামযদি দুঃখে বুক ফেটে গভীর কান্না নামেতবু আর কিছুতেই ডাকবো না।

Advertisement

****

শতভাবে ভালোবেসেছি

যদি চিৎকারে বলা যেতোতোমাকে শতবারে শতভাবে ভালোবেসেছিতাহলে বুকের ভেতর যা দুঃখ জমা ছিলকিছুটা হলেও কমতোএটা যে মানুষের আবাসস্থলসুস্থ মানুষ এখানে চিৎকার করে না।

যদি পৃথিবীকে বলা যেতোতোমার জন্য জীবনকে পিছিয়েছিতাহলে রোজ রোজ বুকের ভেতর ঝড় তুলেকিছুটা হলেও কমতোএটা যে মানুষের আবাসস্থলসব দুঃখ জানাতে নেই।

Advertisement

যদি একবার তোমাকেই বলতে পারা যেতোতোমার জন্যই আমার ভীষণ দুঃখ হয়তাহলে রোজ রোজ অন্ধকারে চোখের জল পড়েতা কিছুটা হলেও কমতোএটা যে মানুষের আবাসস্থলভালো না থাকলে ভালো আছি বলতে হয়।

****

আমার কিচ্ছু হয়নি

তুমি চাইলেই অনেক কিছু হতোএকটা সংসার হতোউনুনে প্রতিদিন নাস্তা বানানোর গল্প হতোদুপুরে ডাল ভাত মাছে টেবিল সাজানোর তাড়া থাকতোছুটির দিনে বিকেল নামলেই চায়ের কাপে লড়াই হতোরাত নামলেই অপেক্ষারা সুন্দর হতোতুমি চাওনি বলেই আমার কিচ্ছু হয়নি।

তুমি চাইলে মাতৃত্বের আস্বাদন পেতামমা মা ডাক লক্ষ কোটি বার শোনা হতোটকটকে লাল শাড়িতে বেলী ফুলে বউ সাজা হতোমুঠোভর্তি চুড়িতে জল ঢালা হতোসঞ্চয়ের টাকায় আনন্দ কেনা হতোকত কিছু হতোতুমি চাওনি বলেই আমার কিচ্ছু হয়নি।

এসইউ/জেআইএম