লাইফস্টাইল

যৌনবাহিত রোগ ‘সিফিলিসের’ গুরুতর ৫ লক্ষণ

সিফিলিস একটি যৌন সংক্রামিত সংক্রমণ বা (এসটিআই)। সাধারণত সংক্রামিত ব্যক্তির সঙ্গে অরক্ষিত যৌন মিলনের মাধ্যমে অন্যের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এই রোগ।

Advertisement

যদি সময়মতো এর সঠিক চিকিৎসা করা না হয় তাহলে সিফিলিস জীবন হুমকির কারণ যেমন- হার্ট ফেইলিওর, খিঁচুনিসহ বিভিন্ন গুরুতর সমস্যার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। সিফিলিসের সংক্রমণ প্রতিরোধে চিকিৎসকরা কনডম ব্যবহারের পরামর্শ দেন।

আরও পড়ুন: বর্ষায় চোখ ওঠার সমস্যা সারাতে ও সংক্রমণ এড়াতে যা করবেন

সিফিলিসের প্রাথমিক লক্ষণগুলো প্রায়শই হালকা হয়। আর এ কারণে অনেকেই প্রথম দিকে এই রোগ শনাক্তে দেরি করে ফেলেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিলে তখনই চিকিৎসকের দারস্থ হয়ে অনেকেই তখন জানতে পারেন যে তিনি সিফিলিসে ভুগছেন।

Advertisement

তবে আপনার যদি জানা থাকে সিফিলিসের লক্ষণ কোনগুলো তাহলে হয়তো প্রথমদিকেই এই রোগ শনাক্ত করে চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারবেন। জেনে নিন গুরুতর যৌনবাহিত রোগ সিফিলিসের লক্ষণ-

মুখে দাগ

যদি আপনার মুখে সাদা দাগ দেখা দেয়, তাহলে এর অর্থ হতে পারে আপনি সিফিলিসে আক্রান্ত। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ৪-১২ শতাংশ রোগীর মুখে সিফিলিসের কারণে সাদা দাগ পড়েছে।

আরও পড়ুন: সব টিউমার থেকেই কি ক্যানসার ছড়ায়?

Advertisement

মুখ ছাড়াও সিফিলিসের কারণে শরীরের বিভিন্ন স্থান যেমন- বগল, কুঁচকি এমনকি যৌনাঙ্গের আশপাশে সাদা ক্ষত দেখা দিতে পারে। আদ্র অঞ্চলে এমন সাদা ঘা দেখা দেয় বেশি।

চুল পড়া

সেকেন্ডারি সিফিলিসের কারণে মাথা, দাড়ি ও ভ্রুর চুল পড়ে যেতে পারে। গবেষণা অনুসারে, চুল পড়ার ফ্রিকোয়েন্সি ২.৯-৭ শতাংশ পর্যন্ত। এই চুল পড়ার প্যাটার্ন মথ-খাওয়া, ছড়িয়ে পড়া বা উভয়ই হতে পারে।

সেকেন্ডারি সিফিলিসের কারণে চুল পড়ার সবচেয়ে সাধারণ ধরন হলো গোলাকার প্যাটার্ন। মুখ ও চুল ছাড়াও, অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপসর্গও দেখা দেয় এই রোগে। যেমন-

আরও পড়ুন: মাথায় বা কানের পেছনে এ ধরনের চর্মরোগ কেন হয়?

ছোট ঘা

সিফিলিসের প্রথম লক্ষণ সাধারণত ছোট ঘা যাকে চ্যাঙ্কার বলে। যেখানে ব্যাকটেরিয়া আপনার শরীরে প্রবেশ করেছে সেই স্থানেই প্রথম ঘা দেখা দেয়।

ব্যাকটেরিয়া থেকে সংস্পর্শে আসার প্রায় তিন সপ্তাহ পরে চ্যাঙ্কার সাধারণত বিকাশ লাভ করে। সিফিলিসে আক্রান্ত রোগীদের অনেকেই এ ধরনের ঘা টের পান না, কারণ ব্যথাহীন হয় সেগুলো।

আবার যোনি বা মলদ্বারের মধ্যেও লুকিয়ে থাকতে পারে এ ধরনের ছোট ঘা। সংক্রমণের তিন থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে চ্যাঙ্কার নিজেই সেরে যায়।

আরও পড়ুন: করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘বিএ.২.৮৬’ কতটা বিপজ্জনক? জানুন উপসর্গ

ফুসকুড়ি

ছোট ছোট ঘা সেরে যাওয়ার কয়েক সপ্তাহ পর ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে। একক ফুসকুড়ি দিয়ে শুরু হয়, তবে শেষ পর্যন্ত তা পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।

এমনকি হাতের তালু ও আপনার পায়ের তলায়ও বের হয় ফুসকুড়ি। এই ফুসকুড়ি সাধারণত চুলকায় না। এটি রুক্ষ, লাল বা লালচে-বাদামি দাগের মতো দেখা যায়।

ফ্লুর মতো লক্ষণ

সিফিলিসের দ্বিতীয় পর্যায়ে আক্রান্তরা বেশ অসুস্থ বোধ করেন। হালকা ফ্লুর মতো উপসর্গ থাকতে পারে। যেমন- জ্বর, ক্লান্তি বা ক্লান্তি, গলা ব্যথা, ফুলে যাওয়া গ্রন্থি, মাথাব্যথা, পেশিতে ব্যথা ইত্যাদি। যদি সঠিকভাবে চিকিৎসা না করা হয় তবে এই লক্ষণগুলো কয়েক মাস বা এমনকি বছর ধরে বারবার হতে পারে।

আরও পড়ুন: জ্বরঠোসা কী ও কেন হয়? সারানোর ঘরোয়া উপায়

ফ্লুর পাশাপাশি ক্লান্তিও দেখা দিতে পারে গুরুতর পর্যায়ের ক্ল্যামিডিয়াল বা গনোরিয়া সংক্রমণের ক্ষেত্রে। এটি হেপাটাইটিস এ, বি ও সি এর কারণেও হতে পারে।

ফ্লুর মতো লক্ষণগুলোও এইচআইভি সংক্রমণের প্রথম দিকের উপসর্গও হতে পারেত পারে। যা সংক্রমণের ২-৬ সপ্তাহ পরে দেখা দিতে পারে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

জেএমএস/জেআইএম