মানবিক সংকট মোকাবিলায় নিযুক্ত মাঠপর্যায়ের কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়েছে। মানবিক কর্মসূচিকে কার্যকর করতে সব কর্মসূচি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নে স্থানীয় সংগঠনগুলোর নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার কথাও বলা হয়।
Advertisement
শনিবার (১৯ আগস্ট) কোস্ট ফাউন্ডেশন, কক্সবাজার সিএসও-এনজিও ফোরাম এবং বিডিসিএসও সমন্বয় প্রক্রিয়ার যৌথভাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা জানান বিশিষ্টজন ও ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রমে জড়িত ব্যক্তিরা। বিশ্ব মানবিক দিবস উপলক্ষে ভার্চুয়ালি এ সভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কোস্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোস্তফা কামাল আকন্দ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন একই প্রতিষ্ঠানের মো. ইকবাল উদ্দিন। বক্তব্য রাখেন সিসিএনএফ’র কো-চেয়ার আবু মোরশেদ চৌধুরী, ইপসা’র নির্বাহী পরিচালক আরিফুল ইসলাম, অগ্রযাত্রার প্রধান নির্বাহী নীলিমা জাহান, এনজিও প্ল্যাটফর্মের আমির হোসেন, উদয়ন বাংলাদেশের শেখ আসাদ, তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা (টিইউএস) ফাউন্ডেশনের খন্দকার ফারুক আহমেদ, এবং সুশীলনের উপদেষ্টা মুজিবুর রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন কোস্ট ফাউন্ডেশনের উপ-নির্বাহী পরিচালক সনৎ কুমার ভৌমিক।
প্রবন্ধে মো. ইকবাল উদ্দিন কয়েকটি সুনির্দিষ্ট সুপারিশ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মানবিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত স্থানীয় কর্মীদের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষা করে তাদের জন্য ন্যায্য বেতন, সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। জীবন বিমা, গ্র্যান্ড বার্গেইনে প্রতিশ্রুত দাতাদের ২৫ শতাংশ তহবিল স্থানীয় সংগঠনগুলোকে প্রদানের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। এছাড়া স্থানীয় পর্যায়ে দ্রুত সাড়াদানের ক্ষেত্রে স্থানীয় সংগঠন ও নেতৃত্বের বিকাশ এবং স্থানীয় সংগঠনগুলোকে শক্তিশালী করা।
Advertisement
আবু মুর্শেদ চৌধুরী মানবিক কর্মসূচিতে মাঠপর্যায়ের কর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি একটি ঝুঁকি বণ্টন ধারণার পক্ষে কথা বলেন এবং প্রকল্প তৈরির সময়ই ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার সঙ্গে দাতাসহ সব অংশীদার সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।
নীলিমা জাহান বলেন, রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে নারী কর্মীদের জন্য একটি ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করার এবং তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করতে হবে।
আমির হোসেন বলেন, খরচ কমাতে এবং স্থানীয় নেতৃত্বের বিকাশের স্বার্থে দাতাদের কাছ থেকে স্থানীয় সংস্থাগুলোতে সরাসরি অর্থায়নের সুপারিশ করতে হবে।
শেখ আসাদ গ্র্যান্ড বর্গেইন চুক্তির কার্যকর বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। মজিবুর রহমান স্থানীয়, জাতীয় ও আইএনজিওদের মধ্যে একটি বৈষম্যহীন পরিবেশ নিশ্চিত করার জোর দাবি জানান।
Advertisement
আরিফুর রহমান তহবিলের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করার স্বার্থে বাংলাদেশি এনজিওগুলোর জন্য সরাসরি অর্থায়নের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দাতা সংস্থা এবং কর্মসূচি বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে মধ্যস্থতাকারী সংস্থাগুলো প্রায় পরিচালন ব্যয়ের নামে একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ তহবিল নিয়ে যায়। ফলে মাঠপর্যায়ে পর্যাপ্ত তহবিলের সংকট দেখা দেয়।
ইএআর/জেডএইচ/জেআইএম