আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্র-জাপান-দক্ষিণ কোরিয়ার সম্পর্ক আরও গভীর হচ্ছে

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্প ডেভিডে শুক্রবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে এক শীর্ষ বৈঠকে সামরিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও গভীর করার বিষয়ে একমত প্রকাশ করেছেন জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার নেতারা। ওই বৈঠকে সম্মিলিতভাবে কঠোর ভাষায় দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের ‘বিপজ্জনক ও আগ্রাসী আচরণের’ নিন্দা জানিয়েছেন তারা। খবর রয়টার্সের।

Advertisement

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়োক সুক ইয়োল এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাকে নিয়ে এই শীর্ষ বৈঠকের আয়োজন করেছে বাইডেন প্রশাসন। সাম্প্রতিক সময়ে চীন এবং উত্তর কোরিয়া এই তিন দেশের জন্য হুমকিতে পরিণত হয়েছে।

চীন দিন দিন আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। অপরদিকে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকি বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে নিজেদের মধ্যে ঐক্য প্রদর্শনের উদ্দেশেই এই বৈঠকে অংশ নিয়েছে পরাশক্তির দেশ যুক্তরাষ্ট্র এবং এর ঘনিষ্ঠ মিত্ররা।

আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে বিষ মাখানো চিঠি দিলেন নারী, পেলেন ২২ বছর কারাদণ্ড

Advertisement

বৈঠকের পর দেশগুলোর পক্ষ থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়। ওই বিবৃতিতে এই তিন দেশ সংকটের সময় একে অন্যের সঙ্গে দ্রুত পরামর্শ করার এবং পরস্পরের স্বার্থের ক্ষতি হয় এমন আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ, উস্কানি ও হুমকির ক্ষেত্রে সমন্বিত প্রতিক্রিয়া দেখানোর বিষয়ে অঙ্গীকার করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

তিন দেশ জানিয়েছে, তারা প্রতি বছরই সামরিক প্রশিক্ষণের মহড়ার আয়োজন করবে। এছাড়া চলতি বছরের শেষ নাগাদ উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের প্রকৃত সময় সংক্রান্ত তথ্য জানানোর বিষয়েও একমত হয়েছে তারা। একই সঙ্গে দেশগুলো ত্রিপক্ষীয় বৈঠক করার বিষয়েও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

১৯১০ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত কোরিয়ায় কঠোর ঔপনিবেশিক শাসন চালায় জাপান। এই তিক্ত ইতিহাস এ দুইদেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে বাধা হিসেবে ছিল। ফলে ক্যাম্প ডেভিডের বৈঠক থেকে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি এলেও আনুষ্ঠানিক ত্রিমুখী জোটের কোনো ঘোষণা আসেনি।

আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে বিষ মাখানো চিঠি দিলেন নারী, পেলেন ২২ বছর কারাদণ্ড

Advertisement

ক্যাম্প ডেভিডে এটাই বিদেশি নেতাদের নিয়ে বাইডেনের প্রথম বৈঠক। মেরিল্যান্ডে মার্কিন প্রেসিডেন্টের অবকাশযাপন কেন্দ্রে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। চীন ও উত্তর কোরিয়ার বাড়তে থাকা হুমকির মুখে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সম্প্রীতি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট।

সে কারণেই এই ত্রিপক্ষীয় বৈঠক সম্ভব হয়েছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণও এক্ষেত্রে বেশ ভূমিকা পালন করেছে। কিশিদা এবং ইয়োনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেন, আমি বেশ খুশি। এটা ছিল সত্যিই এক অসাধারণ বৈঠক।

টিটিএন