বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, এই সরকার ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় বসে আছে। এরা কথা বললে শোনে না। এদের ধাক্কা দিয়ে সরাতে হবে। ১৫ বছরে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়ে গেছে, সরকারের পরিবর্তন হয় না।
Advertisement
তিনি বলেন, আমাদের আর কোনো ভয় নেই। দেশের মানুষ গুম, হত্যাকে ভয় পায় না। মানুষ মরতে ভয় পায় না।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর গুলশান ১-এ গণমিছিলের আগে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ সরকার পতনের একদফা দাবিতে রাজধানীতে এ গণমিছিল করছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।
আরও পড়ুন>>> আ’লীগ সকালে মার্কিনদের গালি দেয় বিকেলে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়
Advertisement
মির্জা আব্বাস বলেন, আজ শুনলাম কেউ কেউ নেপালে গেছেন। ওখানে নাকি কার কাছ থেকে পানি পড়া আনতে। এই পানি পড়া দিয়ে কাজ হবে না। এই সরকারকে সরে যেতে হবে।
তিনি বলেন, গ্রেফতার করে, মামলা দিয়ে হয়রানি করে আমাদের আন্দোলন থেকে দূরে রাখা যাবে না। বেগম খালেদা জিয়াকে দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত করা হবে বলেও ঘোষণা দেন মির্জা আব্বাস।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, আজ আমরা সমবেত হয়েছি সরকারকে লাল পতাকা দেখানোর জন্য। লাল পতাকা দেখালে মাঠ ছেড়ে চলে যেতে হয়। আজ ১২ কোটি মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। এই সরকারকে বিদায় নিতে হবে।
আরও পড়ুন>>> সরকারকে লাল পতাকা দেখানোর জন্য গণমিছিল: মঈন
Advertisement
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিনা ভোটের সরকারের অত্যাচারে, নির্যাতনে দেশের মানুষ অতিষ্ট। আজকের এই সমাবেশ প্রমাণ করে আমাদের যাদের খুন করা হয়েছে, আমরা তাদের রক্তের প্রতিশোধ নিতে চাই। আমরা এই সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এতে আরও অংশ নেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, বিএনপির কোষাধ্যক্ষ রাশেদুজ্জামান মিল্লাত, যুগ্ম-সচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার প্রমুখ।
গণমিছিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশ সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক। গণমিছিলে যুবদল নেতা মামুন হাসান, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের আহ্বায়ক শরীফ উদ্দিন জুয়েলসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত গণমিছিল গুলশান-১ নম্বর থেকে তিতুমীর কলেজের সমানে দিয়ে মহাখালী বাস টার্মিনালে গিয়ে শেষ হবে।
কেএইচ/কেএসআর/জিকেএস