আন্তর্জাতিক

জেলবন্দি চাচা, মামলার ফি হিসেবে উকিলকে পোষা মুরগি দিলো ভাতিজা

সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে জেলে বন্দি চাচা। পুলিশের চাহিদা মতো ঘুষ দিয়েও মুক্তি মেলেনি। এদিকে, মামলা চালানোর মতো বা উকিলকে দেওয়ার মতো নগদ অর্থও নেই পুরো পরিবারের কাছে। তাই চাচাকে জেল থেকে ছাড়াতে উকিলকে প্রিয় পোষা মুরগি দিয়ে দিলো ছোট্ট ভাতিজা। আর এতেই খুশি ওই উকিল, করলেন আইনি লড়াই।

Advertisement

ঘটনাটি পাকিস্তানের লাহোরের। দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজের প্রতিবেদনে জানানো হয়, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে কারাবন্দি রয়েছেন লাহোরের বাসিন্দা মহসিন আব্বাস। কিন্তু আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার মতো আর্থিক সামর্থ্য নেই তার পরিবারের। এ কারণেই এক আইনজীবীর দারস্থ হয়ে ফি হিসেবে বাড়িতে পোষা মুরগি দিতে চান আব্বাসের পরিবারের সদস্যরা। পুরো ঘটনা শুনে তাদের পক্ষে কাজ করতে রাজিও হন ওই উকিল।

আরও পড়ুন: খাড়া পাহাড়ের গায়ে ছোট্ট দোকান, মিলবে নাশতাও!

শুক্রবার লাহোরের এন্টি-টেররিজম আদালতে আদালতে মহসিন আব্বাসের শুনানি ছিল। এতে একজন উকিল তার পক্ষে আইনি লড়াই করেন। আব্বাসের পরিবারের কাছে নগদ অর্থ না থাকায় তারা ফি হিসেবে উকিলকে মুরগি দেন। মুরগিটি আব্বাসের ভাতিজা আয়ানের। ভাতিজাকে লালন-পালন করতেন আব্বাসই। তবে উকিলের হাতে প্রিয় মুরগিটি তুলে দেওয়ার সময় কাঁদতে দেখা যায় শিশুটিকে।

Advertisement

আরও পড়ুন: পোষা কুকুর নিয়ে ঝগড়া, ২ প্রতিবেশীকে গুলি করে হত্যা

এদিকে, ওই আইনজীবী জানিয়েছেন, আব্বাসকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পাত্তোকি নামক এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর ছেড়ে দিতে পুলিশ ২৫ হাজার রুপি ঘুষ দাবি করে। পুলিশের আবদার পূরণও করে তার পরিবার। কিন্তু ছেড়ে দেওয়ার বদলে পাত্তোকি পুলিশ আব্বাসকে লাহোর পুলিশের হাতে তুলে দেয়। আব্বাস কোনো ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না ও এর পক্ষে তার কাছে শক্ত প্রমাণও রয়েছে বলে দাবি এ আইনজীবীর।