আন্তর্জাতিক

সৌদি সফরে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সৌদি আরব সফর করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান। বৃহস্পতিবার (১৭) ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, একদিনের সরকারি সফরে মন্ত্রী এখন সৌদি আরবে অবস্থান করছেন।

Advertisement

চলতি বছরের মার্চে ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনস্থাপনের পর এটিই আব্দুল্লাহিয়ানের প্রথম সৌদি সফর। এর আগে গত জুনে তেহরান সফররত সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তিনি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, একদিনের এ সফরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে বিস্তারিত আলোচনা হবে। আরব নিউজের খবরে বলা হয়েছে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ বিমানবন্দরে পৌঁছালে সৌদি আরবের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে স্বাগত জানান।

আরও পড়ুন: সৌদি-ইরানকে এক করলো চীন, পশ্চিমাদের মাথাব্যথা

Advertisement

দীর্ঘদিনের বৈরিতার অবসান ঘটিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দুই শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী গত ১০ মার্চ চীনের মধ্যস্থতায় পুনরায় কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চুক্তিতে সই করে। ১৯৭৯ সালে ইরানের পশ্চিমাবিরোধী ইসলামি বিপ্লব ও শিয়া ধর্মতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার পর থেকেই রিয়াদ-তেহরানের মধ্যে মতাদর্শগত ও সামরিক দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।

২০০৩ সালে ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনের পর সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যকার দ্বন্দ্ব বা উত্তেজনা ছায়াযুদ্ধে রূপ নেয়। তখন থেকেই রিয়াদ ও তেহরান মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর পাশাপাশি বিশ্ব রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালানো শুরু করে। তবে নানা কারণে ইরান এক্ষেত্রে খুব একটা সফল হতে পারেনি।

আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে চীনের দিকে সৌদি আরব

ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে সৌদি সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো সংঘাত পরবর্তী দেড় দশকে এ অঞ্চলের অধিকাংশ অংশকে কার্যত স্থবির করে দেয়। অন্যদিকে, ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত বিদ্রোহীদের দমন করতে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের সামরিক অভিযান শুরু করে, যা বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ মানবিক সংকটগুলোর মধ্যে অন্যতম।

Advertisement

তাছাড়া, দুই দশকের দীর্ঘ এ রাজনৈতিক সংকটে সিরিয়া, ইয়েমেন, লেবানন ও অন্যান্য উপসাগরীয় দেশে বিশাল অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তাজনিত সংকট সৃষ্টি করে।

আরও পড়ুন: সাত বছর পর সৌদিতে চালু হচ্ছে ইরানি দূতাবাস

২০১৬ সালে সৌদি আরব শিয়া ধর্মগুরু নিমর আল-নিমরকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। এর জেরে তেহরানের সৌদি দূতাবাসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। তখন থেকেই দুই দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে।

তবে করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকটের ফলে সৌদি ও ইরানের কর্মকর্তারা অন্ধকার সে অধ্যায়টি পুনরায় চালু করতে আগ্রহী হন।

সূত্র: রয়টার্স

এসএএইচ