সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালায় চারটি স্কিম রয়েছে। ১৮-৫০ বছর বয়সী সব বাংলাদেশি নাগরিক এ স্কিমে অংশ নিতে পারবেন। এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে ৫০ বছরের বেশি বয়সীরাও অংশ নিতে পারবেন। সেইসঙ্গে প্রবাসে থাকা নাগরিক, যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই; তারাও অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন।
Advertisement
স্কিমসমূহসর্বজনীন পেনশনের স্কিমসমূহ হলো- ১. প্রবাস স্কিম (প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য) ২. প্রগতি স্কিম (বেসরকারি কর্মচারীদের জন্য) ৩. সুরক্ষা স্কিম (স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য) ৪. সমতা স্কিম (স্বকর্মে নিয়োজিত নিম্ন আয়ের নাগরিকদের জন্য)।
আরও পড়ুন: সফল হতে হলে লেগে থাকতে হবে
স্কিমে অংশগ্রহণের যোগ্যতা> ১৮-৫০ বছর বয়সী জাতীয় পরিচয়পত্রধারী সব বাংলাদেশি নাগরিক তাদের জন্য প্রযোজ্য কোনো স্কিমে অংশ নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন।
Advertisement
> বিশেষ বিবেচনায় ৫০ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকরাও স্কিমে অংশ নিতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে স্কিমে অংশ নেওয়ার তারিখ থেকে নিরবচ্ছিন্ন ১০ বছর চাঁদা দেওয়া শেষে তিনি যে বয়সে উপনীত হবেন; সেই বয়স থেকে আজীবন পেনশন পাবেন।
> প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক, যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই; তারাও তাদের জন্য প্রযোজ্য স্কিমে পাসপোর্টের ভিত্তিতে নিবন্ধন করতে পারবেন। তবে সম্ভাব্য স্বল্পতম সময়ের মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে তার অনুলিপি কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিবেন। এছাড়া নিয়মিতভাবে পাসপোর্ট নবায়ন বা পুনরায় ইস্যুর ক্ষেত্রে নবায়ন করা বা পুনরায় ইস্যু করা পাসপোর্টের অনুলিপি কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিবেন।
আরও পড়ুন: আশ্রয়ণের আলোয় মাহীদের ঘুরে দাঁড়ানো
> সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় থাকা ব্যক্তিরা তাদের জন্য প্রযোজ্য স্কিমে অংশ নিতে পারবেন। তবে স্কিমে অংশ নেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধা সমর্পণ করতে হবে।
Advertisement
> কোনো স্কিমে নিবন্ধনের জন্য দেশে এবং প্রবাসে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিককে কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত ফরম অনলাইনে পূরণ করে আবেদন করতে হবে। যার বিপরীতে আবেদনকারীর অনুকূলে একটি ইউনিক আইডি নম্বর দেওয়া হবে।
> আবেদনে উল্লিখিত আবেদনকারীর মুঠোফোন নাম্বারে এবং অনিবাসী আবেদনকারীর ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় ই-মেইলের মাধ্যমে ইউনিক আইডি নম্বর, চাঁদার হার এবং মাসিক চাঁদা দেওয়ার তারিখ অবহিত করা হবে।
এসইউ/জিকেএস