আন্তর্জাতিক

মালি সীমান্তের কাছে নাইজারের ১৭ সেনা নিহত

মালি সীমান্তের কাছে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় নাইজারের কমপক্ষে ১৭ সেনা নিহত হয়েছে। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। মঙ্গলবার রাতে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নাইজারের সশস্ত্র বাহিনীর (এফএএন) একটি বিচ্ছিন্ন দল বনি এবং তোরোদির মধ্যে চলাচলের সময় কাউতুগু শহরের কাছে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়।

Advertisement

ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, হামলায় আরও ২০ সেনা আহত হয়েছেন। তাদের সবাইকে রাজধানী নিয়ামিতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনী বলছে, শতাধিক হামলাকারীকে প্রতিহত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: নাইজেরিয়ায় চোরাগোপ্তা হামলায় ২৬ সেনা নিহত গত এক দশকে মালির মধ্যাঞ্চল, উত্তর বুরকিনা ফাসো এবং পশ্চিম নাইজারের সীমান্ত যেখানে একত্রিত হয়েছে সেই সাহেল অঞ্চলে আল-কায়েদা এবং আইএসআইএল-এর (আইএসআইএস) সঙ্গে যুক্ত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সহিংসতার কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে।

উত্তর-পূর্ব নাইজেরিয়া থেকে আসা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব নাইজারও। ২০১০ সালে সেখানে বোকো হারামের তৎপরতা শুরু হয়।

Advertisement

এর আগে প্রতিবেশী নাইজেরিয়ায় চোরাগোপ্তা হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর কমপক্ষে ২৬ সদস্য নিহত হয়। আহত হয় আরও ৮ সদস্য। স্থানীয় সময় রোববার রাতে নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলে ওই হামলার ঘটনা ঘটে।

এদিকে বিমানবাহিনীর এক মুখপাত্র জানান, সোমবার সকালে একটি হেলিকপ্টার ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত সেনাদের উদ্ধার করে। সেখানে তখন সেনাসদস্যের সঙ্গে অপরাধী গ্রুপের লড়াই চলছিল। ওই হেলিকপ্টারের ক্রু এবং যাত্রীরা বেঁচে আছেন কি না সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।

আরও পড়ুন: সুইডেনে যেকোনো সময় হতে পারে জঙ্গি হামলা, যুক্তরাজ্যের সতর্কবার্তা

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই কর্মকর্তা এসব তথ্য দিয়েছেন তবে সামরিক কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। একটি সূত্র বলছে, তাদের ২৩ সেনা প্রাণ হারিয়েছে। নিহতদের মধ্যে তিন সেনা এবং তিন বেসামরিক জেটিএফ (রক্ষী) রয়েছেন। এছাড়া আরও ৮ সেনা আহত হয়েছেন। জুংগেরু-তেগিনা হাইওয়েতে দুপক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াইয়ের পর এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

Advertisement

টিটিএন