চলতি বছর দাখিল পরীক্ষায় কোনো শিক্ষার্থী পাস না করা ৯টি এমপিওভুক্ত মাদরাসার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর।
Advertisement
প্রতিষ্ঠানগুলোর এমপিও কেন বন্ধ করা হবে না, তা জানতে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) পাঠানো হয়েছে। বুধবার (১৬ আগস্ট) অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে নোটিশগুলো প্রকাশ করা হয়েছে।
মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখার উপ-পরিচালক মো. জাকির হোসাইনের সই করা নোটিশে বলা হয়, মাদরাসার পাসের হার শূন্য হওয়া এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো পরিপন্থি, যা মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।
ফল বিপর্যয়ের কারণে এ মাদরাসাগুলোর সব শিক্ষা-কর্মচারীর এমপিও সাময়িকভাবে স্থগিত বা স্থায়ীভাবে বন্ধের ব্যবস্থা কেন গ্রহণ করা হবে না, তা আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর পাঠানোর জন্য বলা হলো।
Advertisement
আরও পড়ুন>> চট্টগ্রাম-মাদরাসা বোর্ডের ৪ বিষয়ের পরীক্ষার নতুন তারিখ নির্ধারণ
জানা গেছে, শূন্যপাস করা মাদরাসাগুলোর মধ্যে রাজশাহীর তানোরের ময়েনপুর আলীতুলা দাখিল মাদরাসা থেকে ১২ জন, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আমান উল্লাহপুর দারুস সালাম মহিলা দাখিল মাদরাসা থেকে ১৫ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার রাতোর আর এফ এস দাখিল মাদরাসা থেকে ১৫ জন, নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার বড় বিদিরপুর দাখিল মাদরাসা থেকে ২০ জন, একই উপজেলার চক ফরিদ মেহেরুল্লাহ দাখিল মাদরাসা থেকে ১৬ জন, একই উপজেলার হালাকান্দার সাবেদ আলী উলুম মিয়া দাখিল মাদরাসা থেকে ১৯ জন, যশোরের মনিরামপুরের শমসেরবাগ দাখিল মাদরাসা থেকে ৭ জন, একই উপজেলা হায়াতপুর দাখিল মাদরাসা থেকে ১৫ জন এবং টাঙ্গাইলে সখিপুরের ইচ্ছাদিঘী দাখিল মাদরাসা থেকে ২১ জন পরীক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।
এসব প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো শিক্ষার্থী এ বছর দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করতে পারেনি।
এএএইচ/ইএ
Advertisement