বেসরকারি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির গত ২৩ বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব চেয়ে চিঠি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। ২৫ জুলাই দেওয়া চিঠিতে ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হিসাব জানতে চাওয়া হয়েছে। পরবর্তী সাত কর্মদিবসের মধ্যে চিঠির জবাব দেওয়ার নির্দেশনা দেয় ইউজিসি। তবে বুধবার (১৬ আগস্ট) পর্যন্ত ব্র্যাকের আনুষ্ঠানিক কোনো জবাব পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে ইউজিসি সূত্র।
Advertisement
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিকে চিঠি দেওয়ার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ। বুধবার সকালে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘তাদের আর্থিক হিসাবের বিষয়গুলো জানতে চাওয়া হয়েছে। তারা স্থায়ী ক্যাম্পাস করতে মোটা অংকের ঋণ নিয়েছেন। তাদের এত এত নিজস্ব আয় থাকতেও কেন এত পরিমাণ ঋণের প্রয়োজন পড়ছে, তা অবগত থাকার জন্য ইউজিসি থেকে এ চিঠি দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ঢাকায় ‘অস্ট্রেলিয়া এডুকেশন এক্সপো’, শতভাগ স্কলারশিপের সুযোগ
চিঠিতে যা যা জানতে চেয়েছে ইউজিসি
Advertisement
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির যেসব ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে, সেগুলোর ঠিকানা, মালিকানা, ভাড়ার চুক্তিপত্র, এ পর্যন্ত কত টাকা ভাড়া বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। স্থায়ী ক্যাম্পাসের কাজ শুরুর সময়কাল, অনুমতিপত্র, সভার কার্যবিবরণীও চাওয়া হয়।
স্থায়ী ক্যাম্পাস করতে বড় অংকের ঋণ নিয়েছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি। ওই ঋণের পরিমাণসহ অন্যান্য ঋণ, ঋণ নেওয়া ব্যাংকের নাম, কোন তারিখে কত ঋণ অনুমোদন পেয়েছে এবং এ পর্যন্ত কত উত্তোলন করা হয়েছে তাও চিঠিতে জানতে চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নতুন উপাচার্য পেলো চার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত সেমিস্টার, ট্রাই-সেমিস্টারভিত্তিক, বছরভিত্তিক এবং এ যাবত বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট আয়-ব্যয়ের হিসাব (প্রমাণসহ); বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুমোদন বা সাময়িক অনুমতিপত্রসহ ট্রাস্ট সংক্রান্ত সব দলিল, শুরু থেকে এখন পর্যন্ত যারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনায় জড়িত তাদের প্রত্যেকের ব্যক্তিগত আর্থিক অবদানের পরিমাণ, প্রদানের তারিখ, বিদেশি দাতা সংস্থা ও অন্যান্য উৎস হতে প্রাপ্ত অনুদান বা যে কোনো ধরনের অর্থের পরিমাণ প্রমাণসহ জানতে চায় ইউজিসি।
Advertisement
ব্র্যাক কর্তৃপক্ষ চিঠির জবাব না দিলেও ইউজিসির সঙ্গে যোগাযোগ করে আরও কিছু সময় চেয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন সূত্র।
তবে এসব বিষয়ে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ কোনো কথা বলতে চায় না। তারা কিছুটা সময় নিয়ে হলেও ইউজিসির চিঠির যথাযথ জবাব পাঠাবে বলে জানিয়েছেন।
এএএইচ/জেডএইচ/এমএস