মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের দুর্গম কালাপাহাড়ে দ্বিতীয় দফার অভিযানে নতুন জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিসিটিসি) ইউনিট। নতুন সেই আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার পুলিশ লাইনসে সংবাদ সম্মেলন করে ‘অপারেশন হিলসাইড’র সমাপ্তি ঘোষণা করেন সিটিটিসি প্রধান মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, সোমবার সকালে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার কর্মধা ইউনিয়নের আছকরাবাদ বাজারের স্থানীয় বাসিন্দারা সন্দেহভাজন ১৭ ব্যক্তিকে আটক করেন। এই খবর পাওয়ার পরপরই আমি ঘটনাস্থলে চলে আসি। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে আমরা নিশ্চিত হই গত শনিবার আমাদের টিম যাদের আটক করে এরা তাদের সহযোগী। এরপর কর্মধা ইউনিয়ন কার্যালয় থেকে আমরা তাদের হেফাজতে নিয়ে আসি। এরপর রাতভর আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করি। তখন এই কালাপাহাড়ে তাদের আরেকটি আস্তানা আছে বলে আমাদের জানায়।
সিটিটিসি প্রধান বলেন, আমরা ভোরে ওই আস্তানা সন্ধানে বের হই। দুর্গম প্রায় ২০টি পাহাড় পাড়ি দিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সক্ষম হই। সেখানে গিয়ে বিশেষায়িত ফোর্স অনুসন্ধান চালিয়ে দুটি ঘর থেকে ছয় কেজি বিস্ফোরক, পিস্তলের ১৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করি। এই আটকরাও নতুন উগ্র সংগঠন ইমাম মাহমুদের কাফেলার সদস্য। আটকের সময় তাদের কাছ থেকে নগদ ২ লাখ টাকা, দুটি বড় দা, ৯৫টি ডেটোনেটর উদ্ধার করা হয়।
Advertisement
আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা ধারণা করছি, এখানে ওই সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্ররা রয়েছেন। তাদের মধ্যে ডাক্তার আছেন, ইঞ্জিনিয়ারও আছেন। যেহেতু তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা অনেক সময় ও কৌশলের প্রয়োজন হয়। তাই এই মুহূর্তে তাদের মূল পরিকল্পনা সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।
গত শনিবার ভোরে কুলাউড়ার কর্মধা ইউনিয়নে বাইশালী এলাকার পাহাড়ি টিলায় অভিযান চালায় সিটিটিসি। অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন হিলসাইড’। সেখান থেকে গ্রেফতার হওয়া ১০ ব্যক্তির সবাই নব্য জঙ্গি সংগঠন ‘ইমাম মাহমুদের কাফেলা’র সদস্য। তাদের আস্তানা থেকে প্রায় তিন কেজি বিস্ফোরক, ৫০টির মতো ডেটোনেটর, তিন লাখ ৬১ হাজার টাকা, প্রশিক্ষণসামগ্রী এবং কয়েক বস্তা জিহাদি বই জব্দ করা হয়।
এমআরআর/এমএস
Advertisement