অর্থনীতি

সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধন বৃহস্পতিবার

সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালা-২০২৩ চূড়ান্ত করেছে সরকার। এ সর্বজনীন পেনশনের আওতায় চারটি স্কিম রয়েছে। ১৮ বছর থেকে ৫০ বছর বয়সী সব বাংলাদেশি নাগরিক এ স্কিমে অংশ নিতে পারবেন। এমনকি ক্ষেত্রে বিশেষে ৫০ বছরের বেশি বয়সীরাও এ স্কিমে অংশ নিতে পারবেন। সেইসঙ্গে প্রবাসে থাকা যেসব বাংলাদেশি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই তারাও এ স্কিমে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন।

Advertisement

আগামী বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এরই মধ্যে সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালা ২০২৩ এর গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। চার স্কিমের মধ্যে রয়েছে- প্রবাস স্কিম (প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য), প্রগতি স্কিম (বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের জন্য), সুরক্ষা স্কিম (স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য) এবং সমতা স্কিম (স্বকর্মে নিয়োজিত স্বল্প আয়ের নাগরিকদের জন্য)। এসব স্কিমে চাঁদার হার কত হবে তাও নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রবাস স্কিম

Advertisement

বিদেশে কর্মরত বা অবস্থানকারী যেকোনো বাংলাদেশি নাগরিক তফসিলে বর্ণিত চাঁদার সমপরিমাণ অর্থ বৈদেশিক মুদ্রায় দিয়ে এ স্কিমে অংশ নিতে পারবেন এবং তিনি দেশে প্রত্যাবর্তনের পর সমপরিমাণ অর্থ দেশীয় মুদ্রায় পরিশোধ করতে পারবেন। প্রয়োজনে, স্কিম পরিবর্তন করতে পারবেন। তবে, পেনশন স্কিনের মেয়াদপূর্তিতে পেনশনার দেশীয় মুদ্রায় পেনশন পাবেন।

আরও পড়ুন: চার স্কিম নিয়ে চূড়ান্ত সর্বজনীন পেনশন বিধিমালা 

প্রগতি স্কিম

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোনো কর্মচারী বা ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক তফসিলে বর্ণিত হারে চাঁদা দিয়ে এ স্কিমে অংশ নিতে পারবেন। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কর্মচারীদের জন্য এ স্কিমে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে স্কিমের চাঁদার ৫০ শতাংশ কর্মচারী এবং অবশিষ্ট ৫০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান দেবে। কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এ স্কিমে অংশ না নিলে, ওই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোনো কর্মচারী নিজ উদ্যোগে এককভাবে এ স্কিমে অংশ নিতে পারবেন।

Advertisement

সুরক্ষা স্কিম

অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত বা স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিরা যেমন- কৃষক, রিকশাচালক, শ্রমিক, কামার, কুমার, জেলে, তাঁতী, ইত্যাদি তফসিলে বর্ণিত হারে চাঁদা দিয়ে এ স্কিমে অংশ নিতে পারবেন।

সমতা স্কিম

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক, সময় সময়, প্রকাশিত আয়সীমার ভিত্তিতে দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসকারী ব্যক্তিরা (যার বর্তমান আয় সীমা বাৎসরিক সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা) তফসিলে বর্ণিত হারে চাঁদা দিয়ে এ স্কিমে অংশ নিতে পারবেন।

এমএএস/এমএইচআর/জিকেএস