কাঁচা মরিচ চাষ করে সফল হয়েছেন চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার কৃষক মো. আবু জাফর। বাজারে যখন দাম চড়া; তখন তিনি মরিচগুলো বিক্রি করছেন। তার দেখাদেখি অনেকে গ্রীষ্মকালীন কাঁচা মরিচ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। উপজেলা কৃষি অফিস তাকে সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে বলে জানান তিনি।
Advertisement
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, উপজেলার খৈয়াছড়া ইউনিয়নের নিজতালুক গ্রামের কৃষক আবু জাফর ৩৩ শতক জমিতে কাঁচা মরিচ চাষ করেন। গাছের চারা লাগনো থেকে ফলন বাজারে বিক্রি পর্যন্ত সহযোগিতা করে যাচ্ছেন তারা। কয়েকদিন পর ওই ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহাজান ক্ষেত পরিদর্শন করেন।
সরেজমিনে জানা যায়, ফুল ও মরিচে ভরে গেছে জাফরের সবুজ মরিচ ক্ষেত। জমিতে একজন শ্রমিকসহ কাজ করছেন তিনি। ফলনও ভালো হয়েছে। অন্য জমিতে বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষও করেছেন জাফর। মরিচের দাম বেশি পাওয়ায় বেজায় খুশি তিনি।
আরও পড়ুন: মরিচ গাছের যত্ন জানালো কৃষি তথ্য সার্ভিস
Advertisement
কৃষক আবু জাফর বলেন, ‘আমি সারাবছরই বিভিন্ন সবজি চাষ করি। শীতকালে মরিচও চাষ করি। এবার উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে ৩৩ শতক জমিতে গ্রীষ্মকালীন কাঁচা মরিচ চাষ করেছি। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে পরামর্শের পাশাপাশি এক রোল মালচিং পেপার দিয়েছে। এ পর্যন্ত আমার প্রায় ৪২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ৪ বার মরিচ উত্তোলন করে বাজারে বিক্রি করেছি। আশা করি দিন দিন আরও বেশি মরিচ উত্তোলন করা যাবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রতি কেজি মরিচ এখন পাইকারিভাবে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা বিক্রি করছি। এভাবে বিক্রি করতে পারলে অনেক লাভবান হবো। তবে টানা বৃষ্টিতে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। শুধু মরিচ নয়, আমি লাউ, বরবটি, করলা ও ধুন্ধলসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করেছি। সবজি চাষ করে আমার সংসার চলছে। দুই ছেলে পড়াশোনা করছে। এক মেয়ে এখনো ছোট।’
মরিচ উত্তোলনে ব্যস্ত শ্রমিক তাজুল ইসলাম বলেন, ‘জাফর ভাইয়ের জমিতে মরিচ উত্তোলনের কাজ করে প্রতিদিন ৬০০ টাকা আয় করছি। আমিও চাষাবাদ করি। মাঝে মাঝে তার জমিতে মরিচ উত্তোলনের কাজ করে থাকি। এতে বাড়তি আয় হয়।’
আরও পড়ুন: টবে মরিচ চাষ করার নিয়ম
Advertisement
মিরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমাদের পরামর্শে কৃষক জাফর গ্রীষ্মকালীন প্রিমিয়াম জাতের কাঁচা মরিচ চাষ করেছেন। শুরু থেকে তাকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। আমিও তার ক্ষেত পরিদর্শন করেছি। তিনি খুবই পরিশ্রমী কৃষক। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে তিনি ভালো লাভবান হবেন।’
এসইউ/জিকেএস