আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশের জনগণের পাশে আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধ হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনের তরঙ্গ তুলে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে।
Advertisement
সোমবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম: দুঃশাসনের দেড় দশক’ শীর্ষক এক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে তিন এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, শুধু বিএনপি লড়াই করবে এটা হয় না, সবাইকে লড়াই করতে হবে। অন্ধকার সরিয়ে সূর্যের আলো সামনে আনতে হবে। তিনি বলেন, একদলীয় শাসন কায়েম করতে পুরো আয়োজন সম্পন্ন করেছে সরকার। পুরো সমাজটাকে নষ্ট সমাজে পরিণত করেছে।
আরও পড়ুন>> খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে ফখরুল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সর্বগ্রাসী ফ্যাসিবাদ দেশকে গ্রাস করে ফেলেছে। সেজন্য প্রধান অস্ত্র গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করছে। গত ১৫ বছর ধরে সে চর্চা করে এসেছে।
Advertisement
তিনি বলেন, সরকার তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন বাস্তবায়ন করছে। সুকৌশলে করপোরেট মিডিয়া সংস্কৃতি তৈরি করেছে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র ছাড়া মুক্ত গণমাধ্যম সম্ভব নয়। সবার আগে যেটা প্রয়োজন মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করা যেটা সব শক্তি দিয়ে করার চেষ্টা করছি।
মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়ার জীবন-মরণ নিয়ে লড়াই করছে চিকিৎসকরা। অথচ সরকার বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ পর্যন্ত দিচ্ছে না, বিএনপি বারবার বলছে।
তিনি বলেন, বিদেশিরাও বলছে বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই, নির্বাচন হয় না। তাই এখন বুকে সাহস নিয়ে গণতন্ত্রের জন্য, মানুষের অধিকারের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামতে হবে।
Advertisement
আরও পড়ুন>> চলমান আন্দোলনেই সরকারের বিদায়: ফখরুল
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদের পরিচালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ। এসময় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, উপদেষ্টা পরিষদের হাবিবুর রহমান হাবিব, তাজমেরী এসএ ইসলাম, অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুব উল্লাহ, বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক রুহুল আমিন, গণফোরামের আবু সাইয়্যিদ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, ন্যাপ ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, গণঅধিকার পরিষদের নূরুল ইসলাম নুর প্রমুখ। তবে গণঅধিকার পরিষদের রেজা কিবরিয়াসহ কয়েকজন বক্তৃতা না দিয়েই চলে যান। সেমিনারে কয়েকজন বিদেশি কূটনীতিক অংশ নেন।
কেএইচ/ইএ/এমএস