দেশজুড়ে

৬৫ বছর ধরে অতুলনীয় সুধীর ময়রার ক্ষীরমোহন

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার ক্ষীরমোহনের চাহিদা এখন জেলার বাইরেও। লোভনীয় এই ক্ষীরমোহনের স্বাদ নিতে প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন অনেকে।

Advertisement

১৯৫৮ সালে তৎকালীন ফরিদপুরের গোয়ালন্দ থেকে সুধীর সরকার ওরফে সুধীর ময়রা নামের এক ব্যক্তি কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুরে আসেন। তিনি মিষ্টির কারিগর হিসেবে চাকরি নেন কছির মিয়ার রেস্তোরাঁয়। চাকরির শর্ত ছিল, তিনি এমন মিষ্টি বানাবেন যা দিয়ে দোকানের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়বে। কছির মিয়ার এমন শর্তে রাজি হন সুধীর ময়রা। তৈরি করেন ‘অন্য রকম’ মিষ্টি ক্ষীরমোহন। এলাকার মানুষ লুফে নেয় অতুলনীয় এই ক্ষীরমোহনের স্বাদ। জনপ্রিয়তাও শুরু হয়।

পরে সুধীর ময়রার দেখাদেখি উলিপুরের নামি মিষ্টান্নের কারিগর মনমোহন হালাইও নামের এক কারিগর তৈরি করেন সুস্বাধু মিষ্টি ক্ষীরমোহন। এখনও এই মিষ্টির স্বাদ নিতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসে লোকজন।

এককেজি ক্ষীরমোহনের দাম শুরুতে ছিল মাত্র ৬ আনা। তবে বর্তমান বাজারে এটি ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

Advertisement

ক্ষীরমোহন কিনতে আসা মো. মমিনুল ইসলাম বাবু বলেন, উলিপুরের ক্ষীরমোহন অতি সুস্বাদু মিষ্টি। অতিথি আপ্যায়ন ও আত্মীয় স্বজনের বাসায় বেড়াতে গেলে অনেকেই ক্ষীরমোহন নিয়ে যান।

আসল পাবনা মিষ্টি ভান্ডারের ব্যবসায়ী গোসাই চন্দ্র বলেন, ক্ষীরমোহনের চাহিদা ভালো। দুধের ছানা, কিচমিচ, মসলা দিয়ে ক্ষীরমোহন তৈরি করি। আগে প্রতিদিন ৫-৭ মণ ক্ষীরমোহন তৈরি করতাম। এখন চাহিদা থাকলেও বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেশি হওয়ায় ক্ষীরমোহন তৈরি কমিয়ে সাধারণ মিষ্টি বেশি বানাই।

উলিপুর বনিক সমিতির সভাপতি সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে গবা বলেন, উলিপুরের আদী ক্ষীরমোহনের চাহিদা দেশ-দেশান্তরে ছড়িয়েছে। জিনিসপত্রের দামের সঙ্গে ক্ষীরমোহনের দামও বেড়েছে। এখানে কয়েকটি মিষ্টির দোকানে ক্ষীরমোহন বিক্রি হয়। জানামতে প্রতিদিন ১৫-২০ মণ ক্ষীরমোহন তৈরি করেন ময়রারা।

ফজলুল করিম/এফএ/জেআইএম

Advertisement