পাবনার ফরিদপুরে গোপন বৈঠককালে ১৩ জামায়াত নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে ফরিদপুর উপজেলা সদরে জামায়াত নেতা হাজী সাজেদুল ইসলামের দোকানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
Advertisement
আটকরা হলেন- পাবনা জেলা জামায়াতের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক দক্ষিণ রাঘবপুরের আব্দুল গাফ্ফার, উপজেলা জামায়াতের আমির ও ডেমরা কেটি দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা আবু তালেব, একই মাদরাসার সহকারী সুপার ও উপজেলা জামায়াতের সম্পাদক মাওলানা আফজাল হোসেন, বনওয়ারীনগর বাজারের ব্যবসায়ী মিরাজুল ইসলাম, কাপড় ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন, পুংগলী দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক ইসমাইল হোসেন, আল্লাহ আবাদ দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক ওমর ফারুক, ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্সরে অপারেটর ফরিদুল ইসলাম মুকুল, দিঘুলীয়া দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক হাবিবুর রহমান, বনওয়ারীনগর বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল মমিন, কেনাই গ্রামের পল্লী চিকিৎসক রাসেদুল ইসলাম, কালিয়ানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. কামরুজ্জামান ও পুংগলী দাখিল মাদরাসার সহকারী সুপার আব্দুল হামিদ।
ফরিদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে জামায়াতের ৩০-৩৫ জন নেতাকর্মী গোপন মিটিং করছেন। এ খবর পেয়ে শনিবার দুপুরে তার নেতৃত্বে পুলিশের একটি আভিযানিক দল উপজেলার বনওয়ারীনগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে অভিযান চালায়। এ সময় ওই দোকান থেকে উপজেলা জামায়াতের আমির ও সম্পাদকসহ ১৩ জনকে আটক করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল সংখ্যক জিহাদি বই, দলীয় নথিপত্র, লিফলেট, বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ বই ও ৪টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান ওসি।
Advertisement
এ ব্যাপারে জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি ও দারুল আমান ট্রাস্টের অধ্যক্ষ মাওলানা ইকবাল হোসাইন জানান, একটি শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান চলাকালে জামায়াতের নেতা-কর্মীদের আটক করা হয়েছে। জামায়াত কোনো নিষিদ্ধ সংগঠন নয়। তাই সভা সমাবেশ বা অনুষ্ঠান করা অন্যায় নয়।
অন্যায়ভাবে তাদের নেতা-কর্মীদের আটক করা হয়েছে। তাই তাদের মুক্তি দাবি করেন তিনি।
আমিন ইসলাম জুয়েল/এফএ/জেআইএম
Advertisement