খেলাধুলা

কোচ-অধিনায়কের মত নিয়েই বাদ দেওয়া হয়েছে মাহমুদউল্লাহকে!

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এশিয়া কাপের স্কোয়াডে নেই- এটা এখন সবচেয়ে আলোচিত খবর দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে। তিনি যে থাকবেন না আগে থেকেই অনুমিত হচ্ছিল। তবুও ভক্তরা আশায় বুক বেঁধেছিলেন, শেষ মুহূর্তেও যদি তাকে দলে রাখা হয়! কিন্তু না, আজ সকালে ১৭ সদস্যের যে স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছে, সেখানে ঠাঁই হয়নি অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের।

Advertisement

সিনিয়র এই ক্রিকেটারকে কী আরেকটা সুযোগ দেওয়া যেতো না? বিশেষ করে তার অভিজ্ঞতা মূল্যায়ন করে। জাতীয় দলের যে কোনো বিপদের মুহূর্তে তো অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররাই শেষ পর্যন্ত হাল ধরতে সক্ষম হন।

কিন্তু সেই সুযোগ আর মিলবে বলে মনে হচ্ছে না রিয়াদের। কারণ, শুধু এশিয়া কাপ কিংবা বিশ্বকাপই নয়, যে দলটি ঘোষণা করা হয়েছে তা দীর্ঘ সময়ের কথা চিন্তা করেই ঘোষণা করা হলো। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর কথায় আপাতত সেটাই ফুটে উঠেছে।

দল ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচকের প্রতি প্রথমেই প্রশ্ন ছিল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে কেন বাদ দেওয়া হলো? জবাবে প্রধান নির্বাচক জানালেন, রিয়াদকে দলে নেওয়া না নেওয়ার ব্যাপারে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। এরপর টিম ম্যানেজমেন্টের মতামত নেওয়া হয়েছে। যেখানে রয়েছেন কোচ-অধিনায়কও। তাদের মতামতের পরই বাদ দেওয়া হয়েছে অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারকে।

Advertisement

মিনহাজুল আবেদিন নান্নু এ নিয়ে বলেন, ‘মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে অনেক লম্বা আলোচনা হয়েছে প্রথম দিকে। তারপর অনেক আলোচনা করার পর টিম ম্যানেজমেন্ট আমাদের একটা পরিকল্পনা দেয়, সামনে কীভাবে কোন দেশের সঙ্গে খেলবে, কী পরিকল্পনা- এসব চিন্তা-ভাবনা করেই কিন্তু রিয়াদকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনা আমরা মনে করেছি অবশ্যই এটা ভালো। ওদের সঙ্গে যেহেতু হেড কোচের একটা পরিকল্পনা আছে টিম কীভাবে পরিচালনা করা হবে। সব আলোচনা হয়েছে, আমাদের অধিনায়কের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।’

প্রধান নির্বাচকের এই কথায়ই স্পষ্ট মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বিষয়ে তারা কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে এবং অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের সঙ্গে আলাপ করেছেন। তাদের দুজনের মতামতেই ‘না’ বোধক জবাব উঠে এসেছে। ফলে তাকে বাদ দিতে বাধ্য হয়েছেন নির্বাচকরা।

২০১৯ বিশ্বকাপের আগেও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে নেতিবাচক মানসিকতা প্রকাশ করেছিলেন সাকিব। তখন তিনি দলের অধিনায়ক ছিলেন না। এবার তো তিনি নিজেই অধিনায়ক। তার ওপর চার বছরের একটা গ্যাপ, রিয়াদের বয়স বেড়ে গেছে। আগের মতো ফর্ম নেই। শরীরও ঠিকমতো চলে না- সব মিলিয়ে সাকিব শুধু অভিজ্ঞতার আলোকে এমন একজন ক্রিকেটারকে দলে চাইবেন না- এটাই স্বাভাবিক।

মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে সৌম্য সরকারকে কেন বাদ দেওয়া হলো সে বিষয়েও প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে নির্বাচকদের। প্রধান নির্বাচক জানান, দল নির্বাচনে মূলত সৌম্যর কথা আলোচনাই করা হয়নি। তিনি বলেন, ‘সৌম্য সরকারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা আছে। ইমার্জিং কাপে আমরা দেখেছিলাম, কারণ ঘরোয়া ক্রিকেটটা তার যথেষ্ট খারাপ গেছে। এজন্য ফিরে আসতে পারে কি না। কিন্তু এশিয়া কাপে ওকে নিয়ে কোনো আলোচনাই করিনি।’

Advertisement

আইএইচএস/