তথ্যপ্রযুক্তি

চ্যাটজিপিটিতে চাকরির সুযোগ

বর্তমানে এআই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সব ক্ষেত্রেই অবদান রাখছে এআই। প্রযুক্তি বিশষজ্ঞরা ধারণা করছেন এআই-এর কারণে লাখ লাখ মানুষ বেকার হয়ে পড়বে। এআইয়ের অন্যতম চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি। এখন চারকি নেওয়ার বদলে চাকরির সুযোগ করে দিচ্ছেন।

Advertisement

ওপেনএআইয়ের আর্টিফিশিয়াল চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। বছরে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ কোটি টাকারও বেশি বেতন দেওয়া হবে। গত বছরের শেষ দিকে চ্যাটজিপিটি লঞ্চ করে ওপেনএআই। এরপর থেকেই পুরো বিশ্বে এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়তে থাকে।

তবে এবার চ্যাটজিপিটি ব্যবহার হয় সেখানে চাকরিও করতে পারবেন। এজন্য আপনার জানতে হবে কোডিং। সংস্থাটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং এবং প্রাকৃতিক ভাষা প্রক্রিয়াকরণে দক্ষ এমন গবেষক, প্রকৌশলী এবং বিজ্ঞানীদের সন্ধান করছে।

আরও পড়ুন: চ্যাটজিপিটির অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডাউনলোড করবেন যেভাবে

Advertisement

ওপেনএআই সংস্থার সুপার অ্যালাইনমেন্টের প্রধান দায়িত্বে থাকা জেন লেইক বলেন, তারা বেশ কয়েকজন রিসার্চ ইঞ্জিনিয়ার, রিসার্চ সাইনটিস্ট এবং রিসার্চ ম্যানেজার নিয়োগ করার পরিকল্পনা নিয়েছে। তারা এমন লোকদের চায় যারা শক্তিশালী এআই সিস্টেমগুলো মানুষের নিয়ন্ত্রণে থাকে তা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর কারণ ওপেনএআই বিশ্বাস করে যে এআই বিশ্বে ভালো কাজের একটি শক্তিশালী শক্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তবে এটি নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ যে এটি ভালো কাজেই শুধু ব্যবহার হচ্ছে।

চ্যাটজিপিটিতে নিয়োগ পাওয়া একজন গবেষণা প্রকৌশলী বছরে ২ লাখ ৪৫ হাজার থেকে ৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার পর্যন্ত বেতন পাবেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৩ থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত। এছাড়াও পর্যাপ্ত ছুটি পাবেন। প্রতিযোগিতামূলক বেতন এবং সুবিধার পাশাপাশি, ওপেনএআই বিভিন্ন ধরনের সুবিধাও পাবেন তারা।

আরও পড়ুন: যে পেশায় এআই বিকল্প হতে পারবে না

চলতি বছর শেষ হওয়ার আগে প্রায় ১০ জন এমন ইঞ্জিনিয়ারকে নিয়োগ করা হবে। আগামী বছর এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। বিশ্বের যে কোনো স্থান থেকে যে কেউ এতে আবেদন করতে পারেন। তবে এমন প্রার্থীকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হবে যার কোডিং সম্পর্কে ভালো ধারণা আছে, মেশিন লার্নিং বিষয়ে জ্ঞান রয়েছে এবং সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনার যোগ্যতা থাকতে হবে। পাশাপাশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সুরক্ষার অগ্রগতির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে।

Advertisement

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

কেএসকে/এএসএম