দুই হাজার ৪৭০ ইউনিট ডেঙ্গু পরীক্ষার কিটসহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে দুই বাংলাদেশি আটক হয়েছেন। পেট্রাপোল স্থলবন্দর থেকে তাদের আটক করে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)। উদ্ধার কিটের আনুমানিক বাজার মূল্য আট লাখ ৮৮ হাজার ২৫২ রুপি।
Advertisement
জানা গেছে, গোয়েন্দাদের তথ্যের ভিত্তিতে পেট্রাপোল বন্দরে যাত্রী টার্মিনালে তল্লাশি করে বিএসএফ। এসময় একজন বাংলাদেশি যাত্রীকে দেখে বিএসএফ সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদের সময় সেই বাংলাদেশির কথা শুনে সন্দেহ হয়। তখন তার ব্যাগ তল্লাশি করে দুই হাজার ৪৩০ ইউনিট ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে সেই বাংলাদেশি নিজেকে মোহাম্মদ আকরাম হোসেন বলে পরিচয় দেন। তার বাবার নাম বলেন শেখ আব্দুস সালাম।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২০৪৬
Advertisement
আকরাম হোসেন জানান, ঢাকার পল্টনে একটি সার্জিক্যাল দোকানে হিসাবরক্ষক হিসেবে কাজ করেন তিনি। সেই সার্জিক্যাল দোকানের মালিক সোহাগ তাকে ভারত থেকে বাংলাদেশে ডেঙ্গু কিট পাচার করার কথা বলেন। বিনিময়ে প্রতিটি কিটের জন্য কমিশন হিসাবে ১৫ টাকা করে পাবেন। এজন্য গত দুদিন আগে পেট্রাপোল স্থলবন্দর হয়ে ভারতে যান তিনি। এরপর কলকাতার দমদমের বাসিন্দা বিমল পোদ্দারের কাছ থেকে সংগ্রহ করেন ডেঙ্গু কিটগুলো।
আরও পড়ুন: প্লাটিলেট বাড়াতে ডেঙ্গু রোগীরা যেসব খাবার খাবেন
অপরদিকে অন্য একটি ঘটনায় পেট্রাপোল স্থলবন্দরের যাত্রীদের পরীক্ষা করার সময় ৪০ ইউনিট ডেঙ্গু পরীক্ষা করার কীটসহ আরও এক বাংলাদেশিকে আটক করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজেকে আব্দুল করিম নামে পরিচয় দেন। তার বাবার নাম বলেন মোহাম্মদ আবায়ুর রহমান। তার গ্রাম যশোরে বলে জানান।
Advertisement
আব্দুল করিম জানান, ডেঙ্গু কিটগুলো তিনি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁর স্থানীয় একটি ওষুধের দোকান থেকে কিনেছেন। বেনাপোল পৌঁছানোর পর সাইফুল ইসলাম নামে যশোরের এক ব্যক্তির কাছে এসব কিট হস্তান্তর করার কথা ছিল। এর বিনিময়ে চার হাজার টাকা পেতেন তিনি।
এ বিষয়ে দক্ষিণবঙ্গ বিএসএফের ডিআইজি এ কে আর্য জানান, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালান বন্ধ করতে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে বিএসএফ। এ কারণে এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িতরা নানা সমস্যায় পড়ছেন। বিএসএফ কোনো অবস্থাতেই তার ভূখণ্ড থেকে চোরাচালান হতে দেবে না।
ডিডি/জেডএইচ/