কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হোসেন আশরাফের নির্দেশে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ও পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফাইজুল ইসলামের দোকান, গ্যারেজ ও অফিসে হামলা, ভাঙচুর এবং লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার মাথুরাপুর ও রাবারকান্দি এলাকার এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে বাজিতপুর থানায় দুটি মামলা করা হয়েছে।
এর প্রতিবাদে শুক্রবার (১১ আগস্ট) দুপুরে কিশোরগঞ্জ শহরের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম চত্বরে মানববন্ধন করেছে উপজেলা যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
ভুক্তভোগী বাজিতপুর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় বাজিতপুর পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হোসেন আশরাফের সন্ত্রাসী বাহিনীর নেতৃত্বে আমার দোকান, গ্যারেজ ও অফিস ভাঙচুর করে। অফিসের মধ্যে বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনার ছবি ভেঙে তারা মাটিতে ফেলে দেযন। মেয়র আনোয়ার হোসেন বাজিতপুরে চিহ্নিত মাদকসেবী, খুনি, ধর্ষণকারীদের নিয়ে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরি করেছেন, যারা বাজিতপুরের পৌরসভার মানুষকে জিম্মি অবস্থায় রেখে শোষণ করে যাচ্ছেন। তাদের অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ঠ।’
Advertisement
পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফাইজুল ইসলামের স্ত্রী রেহেনা আক্তার বলেন, ‘বৃহস্পতিবার হামলা চালিয়ে আমার স্বামীর কসমেটিকসের দোকান ও গ্যারেজের সাড়ে ৫২ হাজার টাকা নগদ নিয়ে যায় তারা। দুই প্রতিষ্ঠানের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় লাখ লাখ টাকা। সন্ত্রাসীরা আমাকে ও আমার স্বামীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’
মানববন্ধনে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ নুরুন্নবী বাদল, কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বাবু সুব্রত পাল, নিকলী সদর উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান কারার শাহরিয়ার আহমেদ তুলিপ, হিলচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাজহারুল হক নাহিদ, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য শেখ রফিকুন্নবী সাথী, বাজিতপুর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, বাজিতপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বাজিতপুর পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হোসেন আশরাফ বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুরের বিষয়টি বলা হয়েছে। ছবি দুটি লক্ষ্য করলে বোঝা যায়, এটি সাজানো নাটক। কারণ ছবি ওপর থেকে পড়লে ফ্রেম ভেঙে যেতো কিন্তু ভাঙেনি।’
Advertisement
বাজিতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় দুটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসকে রাসেল/এসআর/জিকেএস