শিক্ষা

মুজিব-রেনু বাংলাদেশ সৃষ্টির মহানায়ক-নায়িকা: অধ্যাপক মশিউর

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব (রেনু) বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টির মহানায়ক-নায়িকা বলে উল্লেখ করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান।

Advertisement

তিনি বলেন, মুজিব-রেনু আমাদের আদর্শের অনুপ্রেরণা। আত্মত্যাগের অপার মহিমার উদাহারণ। মুজিব-রেনু বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টির মহানায়ক-নায়িকা।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব পরিষদ আয়োজিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক মশিউর রহমান বলেন, নৃশংসভাবে হত্যার পরও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সহধর্মিণী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের কবর একসঙ্গে হতে দেয়নি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ঘাতকরা। কতটা পরিকল্পিত ও নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড। বঙ্গবন্ধুকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। আর রেনুকে দাফন করা হয় বনানীতে। এর মধ্য দিয়ে বিভেদ তৈরির চেষ্টা হয়েছে। মূলত মুজিব-রেনুর শক্তিমত্তাকে বিলীন করার চেষ্টা করা হয়েছিল।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, মুজিবের সঙ্গে অপর সংযুক্ত নাম রেনু। মুজিব-রেনু দম্পতির এ জীবনযাত্রায় রেনু মুজিবের বাড়ির আঙিনায় খেলতে খেলতে বড় হয়েছেন অভিভাবকদের সঙ্গে। সেই থেকে ঢাকায় আসা, বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টি। মহানায়কের পাশে থেকে, বিপ্লবের পাশে অপর বিপ্লবী- একসঙ্গে মিলেমিশে বাংলাদেশ সৃষ্টি। যখনই নানা প্রতিকূলতা এসেছে, চ্যালেঞ্জ এসেছে যখনই দ্বিধাগ্রস্ত অবস্থা তৈরি হয়েছে, তখনই সাহসিকতার নাম ছিল রেনু।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার।

এতে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব পরিষদের সভাপতি ও ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী।

এএএইচ/এমকেআর/এমএস

Advertisement