রাজনীতি

অঙ্গ সংগঠনের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ বিএনপি, সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন

বর্তমান সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলন করছে বিএনপি। অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের নিয়েই রাজপথে অবস্থান ধরে রেখেছে দলটি। একই দাবিতে বিএনপির সঙ্গে আন্দোলনে রয়েছে সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোও। তবে রাজপথে শক্তি প্রদর্শনে মিত্র দলগুলোর চেয়ে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো বিএনপির মূল ভরসার জায়গা। চূড়ান্ত আন্দোলনে বিএনপির সেই ভরসার জায়গার শক্তি ও সামর্থ্য নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। দলের মধ্যে হিসাব মেলাতে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।

Advertisement

নেতাকর্মীরা বলছেন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল, শ্রমিকদল ও স্বেচ্ছাসেবকদল- এই চার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন বিএনপির আন্দোলনের ভ্যানগার্ড সংগঠন হিসেবে স্বীকৃত। এরই মধ্যেই তিনটি সংগঠন সারাদেশে তারুণ্যের সমাবেশের মাধ্যমে নিজেদের শক্তি ও সামর্থ্য জানান দিয়েছে। তবে সেটার ধারাবাহিকতা ঢাকার অবস্থান কর্মসূচিতে ছিল না। সঙ্গত কারণে নেতাকর্মীদের মধ্যে এসব সংগঠনের শক্তি, সামর্থ্য ও নেতৃত্ব নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

সূত্র জানায়, গত ২৯ জুলাই ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে অবস্থান কর্মসূচি পালনে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পারফরম্যান্সে ক্ষুব্ধ বিএনপির হাই কমান্ড। প্রত্যাশিত অবদান না রাখায় এরই মধ্যে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্ব থেকে কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণকে সরিয়ে দিয়ে সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ ইকবাল খানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যদিও বিএনপি বলছে, শ্রাবণ অসুস্থ। কিন্তু মূল কথা হচ্ছে, অবস্থান কর্মসূচিতে দায়িত্ব অবহেলার দায়ে তাকে এ ‘সম্মানজনক শাস্তি’ দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল এবং শ্রমিকদলের নেতৃত্ব পুনর্বিন্যাস করার কথা ভাবছে বিএনপি। পরের কর্মসূচিতে যাওয়ার আগেই অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতৃত্ব পুনর্বিন্যাস হতে পারে বলে আভাস মিলেছে।

আরও পড়ুন>> ‘সম্মানজনক শাস্তি’ পেলেন ছাত্রদল সভাপতি, এরপর কে?

Advertisement

সূত্রমতে, ওইদিন ঢাকা মহানগরীতে অবস্থান কর্মসূচির জন্য যে চারটি স্পট নির্ধারিত ছিল সেখানে তুলনামূলক নেতাকর্মীদের উপস্থিতি ছিল অনেক কম। অথচ এর আগের দিন ২৮ জুলাই ঢাকার মহাসমাবেশে রেকর্ড সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু পরে কী এমন হলো যে নেতাকর্মীদের দেখা মিললো না অবস্থান কর্মসূচিতে? এ প্রশ্ন এখন বিএনপির সর্বত্র। তবে ঢাকা মহানগর উত্তরের চেয়ে দক্ষিণের কর্মসূচিতে তুলনামূলক নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বেশি ছিল। বিশেষ করে ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের নেতৃত্বে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের উপস্থিতি যতটা ছিল উত্তরে ছাত্রদল সভাপতি শ্রাবণের নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের তেমন সরব উপস্থিতি দেখা যায়নি।

তিনটি সংগঠন সারাদেশে তারুণ্যের সমাবেশের মাধ্যমে নিজেদের শক্তি ও সামর্থ্যের জানান দিয়েছে। তবে সেটার ধারাবাহিকতা ঢাকার অবস্থান কর্মসূচিতে ছিল না। সঙ্গত কারণে নেতাকর্মীদের মধ্যে এসব সংগঠনের শক্তি, সামর্থ্য ও নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

একইভাবে দক্ষিণে যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিত থাকলেও আতঙ্কিত হয়ে তার একটা দৌড়ের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যাকে বলা হচ্ছে ‘সুলতানি দৌড়’। তার এ দৌড়কাণ্ডে সব মহলে তার নেতৃত্বের যোগ্যতা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। ছাত্রদলের মতো যুবদলের ক্ষেত্রেও দক্ষিণের চেয়ে উত্তরে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি ছিল কম। উত্তরের দায়িত্বে ছিলেন যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন। একই অবস্থা স্বেচ্ছাসেবকদল এবং শ্রমিকদলের ক্ষেত্রে। স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি এস এম জিলানির নেতৃত্বে দলের নেতাকর্মীরা ঢাকা মহানগর দক্ষিণের প্রবেশমুখগুলোতে যতটা উপস্থিত ছিলেন, তার চেয়ে অনেক কম ছিল উত্তরে, যার নেতৃত্বে ছিলেন সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান।

আরও পড়ুন>> ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান

Advertisement

শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে ঢাকা দক্ষিণে শ্রমিকদলের নেতাকর্মীরা থাকলেও উত্তরে দলের নেতাকর্মীদের দেখা যায়নি বললেই চলে। শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। গঠনতন্ত্রে নিয়ম না থাকার কারণে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া যাচ্ছে না।

আমরা যখন অবস্থান নিয়েছি, ঠিক তখনই তারা একযোগে আমাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। কিন্তু পুলিশের টিয়ারশেল ও গুলির সঙ্গে পেরে উঠিনি। তাও প্রায় দুপুর ২টা পর্যন্ত অবস্থানে ছিল বিএনপি।

সূত্র বলছে, বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো যখন পুনর্গঠন হয় তখন সেটা যথাযথ প্রক্রিয়ায় হয়নি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যাদের দায়িত্ব দিয়েছিলেন তারা তাকে ‘মিসগাইড’ (ভুল পথ পরিচালনা) করেছেন। যে কারণে সরকার পতনের আন্দোলনের প্রথম কর্মসূচিতেই অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো উত্তীর্ণ হতে পারেনি। প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শ্রমিকদল এবং ছাত্রদলের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে। কিন্তু গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে তাদের ভূমিকা অত্যন্ত হতাশাজনক। ছাত্রদলের কমিটি গঠনের সময় আমান, নাসিরসহ জনপ্রিয় সাংগঠনিক বেশ কয়েকজন ছাত্রনেতা নতুন কমিটির আলোচনায় থাকলেও বাস্তবতা উপেক্ষা করে শ্রাবণ-জুয়েল নেতৃত্বাধীন কমিটি দেওয়া হয়।

এছাড়া যুবদলের ক্ষেত্রে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু-আব্দুল মোনায়েম মুন্নার নেতৃত্বে কমিটি হয়। অথচ এ সংগঠনের নেতৃত্বে নুরুল ইসলাম নয়ন-মামুন হাসানসহ জনপ্রিয় বেশ কয়েকজন নেতা ছিলেন মূল আলোচনায়। স্বেচ্ছাসেবকদলের ক্ষেত্রে স্বয়ং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নেতাকর্মীদের ভোট নিয়েছেন। সেই ভোটে এগিয়ে ছিলেন বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ। এখানেও আলোচনায় ছিল বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ-জিলানী, বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ-সাইফুল ইসলাম ফিরোজসহ জনপ্রিয় নেতাদের নাম।

আরও পড়ুন>> সালাহ উদ্দিনের পর এবার ‘সুলতানি দৌড়’, বিব্রত বিএনপি

ছাত্রদলের সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ জাগো নিউজকে বলেন, ‘পুলিশ এবং ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের গুরুতর জখম করেছেন। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমাদের সংগঠনের নেতাকর্মীরা সর্বোচ্চ ত্যাগ নিয়ে মাঠে ছিলেন। সামনের আন্দোলন-কর্মসূচিতেও সর্বোচ্চ সামর্থ্য নিয়ে মাঠে থাকবে।’

সামনে কঠিন সময়। এখন ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের ভূমিকা হবে সবচেয়ে বেশি। সরকারের পতনের জন্য তাদের সম্মুখভাগে আসতে হবে। এই কঠিন সময়ে নেতৃত্বের প্রশ্নে আপস নয়।

তবে বিষয়টি নিয়ে বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুলের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, ছাত্রদলের পারফরম্যান্সে বকুল খুব লজ্জাবোধ করছেন। তিনি দায়িত্বে থাকাকালীন যতদিন পর্যন্ত ছাত্রদল থেকে কাঙ্ক্ষিত অর্জন না হবে ততদিন পর্যন্ত তিনি গণমাধ্যমে কথা বলবেন না।

আরও পড়ুন>> ধোলাইখালে পুলিশকে পেটালো বিএনপি কর্মীরা, মাথা ফাটলো এসআইয়ের

যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইসহাক সরকার জাগো নিউজকে বলেন, ‘ঢাকা মহানগরের উত্তরের চেয়ে দক্ষিণে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বেশি ছিল। দক্ষিণে নেতাকর্মীরা পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন। আর উত্তরে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।’

যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল আনোয়ার আহমেদ বলেন, ‘গত ২৯ তারিখের বিএনপির কর্মসূচি ছিল ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে অবস্থান। সময় ছিল বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা। বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিট ও কেন্দ্রীয় নেতারা কে কোথায় থাকবেন তা আগের রাতেই বণ্টন করা হয়। আমি যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে ছিলাম শনিরআখড়ায়। সেখানে আমাদের যুবদল দক্ষিণ শাখা দায়িত্বে ছিল। পাশাপাশি অন্য অঙ্গ সংগঠনেরও এমনিভাবে দায়িত্ব ছিল। অবস্থানের দিন সব পর্যায়ের নেতাকর্মী পৌঁছানোর আগেই পুলিশ ও যুবলীগ-ছাত্রলীগ একসঙ্গে অবস্থান নেয়। আমরা যখন অবস্থান নিয়েছি, ঠিক তখনই তারা একযোগে আমাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। কিন্তু পুলিশের টিয়ারশেল ও গুলির সঙ্গে পেরে উঠিনি। তাও প্রায় দুপুর ২টা পর্যন্ত অবস্থানে ছিল বিএনপি।’

আরও পড়ুন>> ঢাকায় বিএনপির কর্মসূচিতে আহত ৫০০, গ্রেফতার ১২৪: রিজভী

যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম মিল্টন জাগো নিউজকে বলেন, ‘যুবদলের চারটি স্পট ছিল, আমি উত্তরাতে ছিলাম। যেহেতু পুলিশ আমাদের পারমিশন দেয়নি, তাই আগের দিন থেকেই আমাদের ডিস্টার্ব করছিল। মোটামুটি আমরা যেখানে ছিলাম চেষ্টা করেছি থাকার জন্য। আমাদের যুবদলের নেতাকর্মীরা ভালোই ছিলেন, কিন্তু ওইভাবে একত্রিত করতে পারিনি পুলিশের কারণে।’

তিনি বলেন, ‘অবস্থান কর্মসূচিতে কিছুটা সমন্বয়হীনতা থাকলেও থাকতে পারে, তবে আন্দোলন-সংগ্রামের জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। আন্দোলন চলমান, যতদিন চলবে আমরা আছি।’

স্বেচ্ছাসেবকদলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান জাগো নিউজকে বলেন, ‘পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সমন্বিত আক্রমণে সেদিন আমাদের নেতাকর্মীরা আহত হয়েছেন। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করেছি এবং ভবিষ্যতেও আমরা রাজপথে থাকবো।’

আরও পড়ুন>> কোমর থেকে নিচ পর্যন্ত বেধড়ক পিটিয়েছে: গয়েশ্বর

বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সফু বলেন, ‘সেদিন শুধু স্বেচ্ছাসেবক দল নয়, অন্য অঙ্গ সহযোগী সংগঠনসহ বিএনপি নেতারা মাঠে ছিলেন, আমি নিজেও ছিলাম। কিন্তু পুলিশ ও ক্ষমতাসীনরা আমাদের ওপর আক্রমণ করেছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘হয়তো ১৯/২০ ছিল, কিন্তু রাজপথে সবাই ছিলেন।’

জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘রাজনীতিতে শ্রমিকদের অংশগ্রহণ কমে যাচ্ছে। সেই তুলনায় শ্রমিকদলের অবস্থান অনেক ভালো। যারা আছেন, সবাই চেষ্টা করেছি অবস্থান কর্মসূচি সফল করার। কিন্তু পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এবং উত্তর- দুই ভাগে চারটি স্পটে কর্মসূচি ছিল, সেক্ষেত্রে কোন ইউনিটের পারফরম্যান্স ভালো? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি এসব বলতে চাই না। আমি বলতে চাই, সবাই রাজপথে ছিলাম।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গত পাঁচ-সাত বছর ধরে আমিই শ্রমিকদলের সভাপতি, আমিই সাধারণ সম্পাদক। নুরুল ইসলাম খান নাসিম। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিনি তার অনুপস্থিতিতে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করবেন।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, ‘অবস্থান কর্মসূচিতে আমাদের সাংগঠনিক ঘাটতি ছিল না, দু’একজনের ত্রুটি থাকতে পারে। সেটা দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এটা নিয়ে আমি ঢালাওভাবে মন্তব্য করতে পারি না। আমাদের প্রত্যেক কর্মসূচির পর দলের মূল্যায়ন হয় এবং সেটা হচ্ছে।’

স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘এখন যারা সাহসের সঙ্গে সামনে আন্দোলনে থাকবে, তারাই হবে প্রকৃত নেতা, বিএনপির আগামী দিনের কাণ্ডারি। যারা সুবিধাভোগী তাদের কোনো সুযোগ নেই। যখন সব কিছু নিরাপদে চলে তখন নেতার অভাব হয় না। বিপদ এলেই সবাই ভেগে পড়ে। সুতরাং, ভুল করা যাবে না। নেতার ভূমিকা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। কারা সাহসিকতার সঙ্গে এই সরকারের মোকাবিলা করছেন, আর কারা সুবিধা ভোগ করছেন- এটা দেখার সময় এসেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সামনে কঠিন সময়। এখন ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের ভূমিকা হবে সবচেয়ে বেশি। সরকারের পতনের জন্য তাদের সম্মুখভাগে আসতে হবে। এই কঠিন সময়ে নেতৃত্বের প্রশ্নে আপস নয়।’

কেএইচ/ইএ/এএসএ/জেআইএম