জাতীয়

সবসময় ২৫ লাখ টাকা জরিমানা হবে বিষয়টি এমন নয়: আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনে এক পয়সা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করার বিধান রাখা হয়েছে। জরিমানা সবসময় ২৫ লাখ টাকা হবে বিষয়টি এমন নয়।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) মিলনায়তনে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ রহিতকরণ এবং নতুনভাবে প্রণীত বা প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ বিষয়ক’ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মন্ত্রী।

আইনমন্ত্রী বলেন, অপরাধের ধরনের ওপর ভিত্তি করে আদালত জরিমানা করবেন আইনে এটা বলা হয়েছে। সবসময় ২৫ লাখ টাকা জরিমানা হবে বিষয়টি এমন নয়। সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের সব ধারায় জামিনযোগ্য করেছি। তবে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অধিকাংশ ছিল জামিন অযোগ্য।

মন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু মানুষ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাইবার নিরাপত্তা আইনকে নতুন বোতলে পুরানো মদ বলছে, এটা ঠিক নয়। যেমন ২৯ ধারা মানহানিতে জেল ছিল এটা এখন নেই, ২১ ধারায় জেল ছিল ১০ বছর এখন এটা কমে ৭ বছর হয়েছে। তাহলে এটা কি নতুন নয়।

Advertisement

আরও পড়ুন>> মানহানিকর তথ্য প্রকাশে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা জরিমানা

আনিসুল হক বলেন, কেউ যদি বলে নতুন বোতলে পুরাতন মদ এটা শুধু সমালোচনার উদ্দেশ্য বলা। যেমন বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যে টাকা চুরি করেছে তাকে কি ধরবো না। আমাদের আইনের প্রয়োজন আছে। সাইবার জগত সুরক্ষা ও নিরাপদ করার জন্যই সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮’ পরিবর্তন করে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’ নামে নতুন যে আইন করার উদ্যোগ সরকার নিয়েছে সেটির খসড়া নিয়ে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি। সরকার এ ব্যাপারে দফায় দফায় ব্যাখ্যা দেওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট অনেকে সন্তুষ্ট হতে পারছেন না। এ অবস্থায় সংবাদ সম্মেলনে সরকারের পক্ষ থেকে আবারও বিষয়টি তুলে ধরা হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গত সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮’ পরিবর্তনের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’-এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। নতুন আইনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের শাস্তি, জামিন ও জরিমানা-সংক্রান্ত কিছু ধারা নমনীয় করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০১৮ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের সময় এটি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এবার সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া নিয়েও তেমন বিতর্ক সামনে এসেছে।

Advertisement

এ সময় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবিরসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

এমওএস/এমএএইচ/জিকেএস