বান্দরবানে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও বিশুদ্ধ পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সকাল থেকে সেনাবাহিনী ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর পুকুর থেকে ভ্রাম্যমাণ ফিল্টারিংয়ের মাধ্যমে কয়েকটি স্থানে পানি সরবরাহ করছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল বলে জানাচ্ছেন স্থানীয়রা।
Advertisement
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জেলা সদরের ক্যাংমোড়, বান্দরবান বাজার ও বালাঘটা পুলিশ লাইন এলাকায় এই বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বান্দরবান পৌর এলাকায় ৪০ হাজারেরও বেশি এবং জেলায় ৪ লাখ ৮০ হাজারের বেশি লোকজনের বসবাস। এর মধ্যে থানচি, রুমা, লামা ও বান্দরবান সদর মিলে অন্তত লক্ষাধিক বাসিন্দা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হলেও জেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় বিশুদ্ধ পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। বৃষ্টির পানি সঞ্চয় করে এতদিন ব্যবহার করলেও তা এখন শেষ। ফলে সুপেয় পানির অভাবে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো।
Advertisement
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বান্দরবান বাজার এলাকার বিপ্লব দাশ বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় ডিপটিউবওয়েল থেকে পানি তোলা যাচ্ছে না। নদীর পানি ঘোলা ও পলিমাটি যুক্ত থাকায় তা ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
কালাঘাটার বাসিন্দা উম্মে কুলসুম বলেন, বন্যার কারণে টিউবওয়েল ও সব পানির উৎস তলিয়ে যাওয়ায় গত তিনদিন ধরে খাবার পানির চরম সংকটে আছি।
ক্যাচিংঘাটার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, এতদিন বৃষ্টির পানি খাওয়াসহ সব কাজে ব্যবহার করেছিলাম। বিদ্যুৎ না থাকায় সাপ্লাইয়ের পানি বা কারও ডিপটিউবওয়েল থেকেও পানি পাচ্ছি না। গত দুইদিন ধরে পানি না থাকায় গোসলও করতে পারছি না।
বান্দরবান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী অনুপম দে বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় পানি সাপ্লাই প্ল্যান্টগুলো চালু করা যাচ্ছে না। তবুও ভ্রাম্যমাণ পানি বিশুদ্ধকরণ যন্ত্রের সাহায্যে বান্দরবান বাজার ও বালাঘাটা পুলিশ লাইন এলাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
Advertisement
নয়ন চক্রবর্তী/এমআরআর/জিকেএস