দেশজুড়ে

৩৮ ঘণ্টা পর নওগাঁয় বাস চলাচল শুরু

নওগাঁয় কারাবন্দি চালকের মুক্তির আশ্বাসে বাস ধর্মঘট সাময়িক প্রত্যাহার করেছেন পরিবহন শ্রমিকরা।

Advertisement

বুধবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন ও বাস মালিক গ্রুপের যৌথ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে রাত ৮টা থেকে জেলার অভ্যন্তরীণ রুটে স্বাভাবিক হতে শুরু করে বাস চলাচল।

জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আজাহারুল ইসলাম তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেছিলেন পরিবহন শ্রমিকরা।

নওগাঁ জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আজাহারুল ইসলাম বলেন, ধর্মঘটের শুরু থেকেই জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক চলছিল। সর্বশেষ বুধবার বিকেলে তাদের সঙ্গে আবারও বৈঠক হলে জেলা প্রশাসক কারাবন্দি চালক ইমরানের জামিনের বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। পরে সাধারণ শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠকে সাময়িকভাবে ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

Advertisement

তিনি বলেন, আগামী রোববার ইমরানের জামিনের শুনানি হবে। ওদিনের ফলাফল দেখার অপেক্ষায় আছেন সব পরিবহন শ্রমিক। বাস চালুর সিদ্ধান্ত দেরিতে নেওয়ায় এখনো সব রুটে বাস চলাচল শুরু হয়নি। তবে রাতের মধ্যেই সব পরিবহন শ্রমিকদের কাছে এই সংবাদ পৌঁছে যাবে। বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সকাল থেকে আগের মতো আবারও বাস চলাচল স্বাভাবিক হবে।

এদিকে, ওই বাসচালককে জামিন দিতে আশ্বস্ত করার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন নওগাঁর জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা। তিনি বলেন, কারাবন্দি ওই চালককে জামিন দেওয়া না দেওয়া সম্পূর্ণ বিচারকের হাতে। আদালতে বিচারাধীন মামলায় কাওকে জামিন দেওয়ার এখতিয়ার জেলা প্রশাসনের নেই। জনভোগান্তি দূর করতে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের প্রতিনিয়ত অনুরোধ করা হচ্ছিল। সেই অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে তারা বাস চলাচল স্বাভাবিক করেছে।

গত ৩০ জুন সন্ধ্যায় শহরের মশরপুর বাইপাস এলাকায় আব্দুল জলিল শিশুপার্কের সামনে হানিফ পরিবহনের একটি বাস কয়েকটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও একটি মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দেয়। এতে পার্কে ঘুরতে আসা বেশ কয়েকজন দর্শনার্থীসহ ২১ জন গুরুতর আহত হন। পরে একজনের মৃত্যুও হয়।

এ ঘটনায় বাসচালক ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন আহতদের এক স্বজন। পরে ওই মামলায় পলাতক থাকার পর ১৬ জুলাই আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিনের আবেদন করেন চালক ইমরান। তখন বিচারক সেই আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান। এরপর একাধিকবার চেষ্টা করেও জামিন পাননি ইমরান। এতে ক্ষুব্ধ পরিবহন শ্রমিকরা বিচার বিভাগ ও প্রশাসনকে আলটিমেটাম দিয়ে গত মঙ্গলবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেছিলেন।

Advertisement

এমআরআর/এএসএম