স্মার্টফোন এখন সবার নিত্যসঙ্গী। শুধু বড়রাই নন, ছোটরাও স্মার্টফোনে আসক্ত হয়ে পড়ছে। এতে ক্ষতি হচ্ছে লেখাপড়া ও অন্যান্য কাজের। ফোন স্ক্রোল করতে গিয়ে ঠিক সময়ে প্রজেক্ট জমা দিতে পারছেন না, এরপরই বকা খেতে হচ্ছে বসের কাছে। আবার শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় ফলাফল খারাপ করারও অন্যতম কারণ ফোন।
Advertisement
তবে চাইলেই অনেকে স্মার্টফোনের আসক্তি কমাতে পারছেন না। এদিকে গবেষণা বলছে, একাধারে ফোন ব্যবহার বাড়িয়ে দিচ্ছে বিষণ্নতার মতো মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা। এছাড়াও একাকিত্ব ও ঘুমের সমস্যা দেখা দিচ্ছে অতিরিক্ত ফোন ব্যবহারে।
সহজ কিছু উপায়ে স্মার্টফোন আসক্তি কমাতে পারবেন-
আরও পড়ুন: কত জিবি স্টোরেজের ফোন কেনা ভালো?
Advertisement
>> পুশ নোটিফিকেশন বন্ধ করে রাখুন। কিছুক্ষণ পরপরই আপনার ফোনে নোটিফিকেশন আসতে থাকে! আর তার খেয়াল রাখতে আপনাকে বার বারই চোখ রাখতে হয় স্মার্টফোনের স্ক্রিনে। এতে অহেতুক সময়ই নষ্ট হয়। একবার ফোন হাতে নিলে কেটে যায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
>> ফোনে টাইমার সেট করুন। ১৫ মিনিট, ২০ মিনিট বা ৩০ মিনিটের একটি টাইমার সেট করুন। এতে নির্দিষ্ট সময় পর পর অ্যালার্ম বা নোটিফিকেশন পাবেন। সেসময় ফোন ব্যবহার বন্ধ করুন।
>> ঘুমের সময় ফোন দূরে রাখুন। বিছানার কাছাকাছি ফোন চার্জে দেবেন না। ফোন সাইলেন্ট বা ভাইব্রেশন বন্ধ করে রাখুন।
>> সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপগুলো কম ব্যবহার করুন। প্রয়োজনে এগুলো হাইড করে রাখুন অথবা ফোনের স্ক্রিনের সামনে না রেখে অন্য কোথাও রাখুন। না হয় আনইনস্টল করে দিন।
Advertisement
আরও পড়ুন: ফোনের নকল চার্জার চেনার উপায়
>> একটা দিন ফোন থেকে ছুটি নিতে পারেন। সপ্তাহে এমন একটি দিন রাখুন যে দিন একেবারেই ফোন থেকে দূরে থাকবেন। যদিও এটি অসম্ভব একটি ব্যাপার। কারণ এখন ঘড়ি থেকে সবকিছুই তো স্মার্টফোনে। তবে চাইলেই পারবেন।
>> ফোনের আনলক পদ্ধতি একটু কঠিন করে রাখুন। প্রয়োজনে মুঠোফোনের টাচ আইডি বা ফেইস আইডি সুবিধা বন্ধ রাখতে হবে। খোলার পদ্ধতি কঠিন হলে বারবার আনলক করে মুঠোফোন ব্যবহার করতে মন চাইবে না।
>> ফোনের বিকল্প খুঁজে বের করুন। এজন্য যে সময়টা ফোনে সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটাচ্ছেন সেই সময়টা ব্যায়াম, হাঁটাহাঁটি কিংবা বই পড়ে কাটাতে পারেন।
সূত্র: উইকি হাউ
কেএসকে/এমএস