ধর্ম

রাজত্ব লাভে আল্লাহর শর্ত

যারা সত্যিকার অর্থে আল্লাহর আনুগত্য করবে এবং তাঁর প্রতি প্রকৃতপক্ষে ঈমান আনবে, কিয়ামাতের পূর্বেই তাদেরকে এ পৃথিবীতে এর প্রতিদান দেয়া হবে। যার ঘোষণা আল্লাহ তাআলা কুরআনে উল্লেখ করেছেন-তোমাদের মধ্যে যারা (আল্লাহর উপর) বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদেরকে ওয়াদা দিয়েছেন যে, তাদেরকে অবশ্যই পৃথিবীতে শাসনকর্তৃত্ব দান করবেন। যেমন তিনি শাসনকর্তৃত্ব দান করেছেন তাদের পূর্ববতীদেরকে এবং তিনি অবশ্যই সুদৃঢ় করবেন তাদের ধর্মকে, যা তিনি তাদের জন্যে পছন্দ করেছেন এবং তাদের ভয়-ভীতির পরিবর্তে অবশ্যই তাদেরকে শান্তি দান করবেন। তারা আমার ইবাদাত করবে এবং আমার সাথে কাউকে শরিক করবে না। এরপর যারা অকৃতজ্ঞ হবে, তারাই অবাধ্য। (সুরা নুর : আয়াত ৫৫)এ আয়াতে আল্লাহ তআলা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উম্মতের সঙ্গে অঙ্গীকার করেছেন এই মর্মে যে, তাঁরা আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে এবং সে অনুযায়ী আমল করবে। তবে আল্লাহ তাআলা দুনিয়াতে তাঁদেরকে কিঞ্চিত রাষ্ট্রক্ষমতা তথা রাজত্ব দান করবেন।তাদের দুনিয়ার ভয়-ভীতিকে শান্তি ও নিরাপত্তায় রূপান্তরিত করবেন। এটা হলো আল্লাহ তাআলার ওয়াদা। আর আল্লাহ তাআলা কখনো ওয়াদার বরখেলাপ করেন না।আলোচ্য আয়াতে যে ঈমান ও সে অনুযায়ী আমলের কথা বলা হয়েছে, তার সার-সংক্ষেপ হলো- তখন  ব্যক্তির খেয়াল-খুশীর কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। জৈবিক চাহিদার কাছে সে বন্দী থাকবে না। স্বভাব ও প্রকৃতির টানে ভেসেও যাবে না বরং সর্ববিষয়ে আল্লাহ তাআলা ও তাঁর রাসুলের পূর্ণ আনুগত্য ও দাসত্ব করবে।আল্লাহ তআলা মুসলিম উম্মাহকে আল্লাহর সঙ্গে কৃত ওয়াদা পালন করে দুনিয়ার কিঞ্চিত রাজত্ব লাভ এবং আখিরাতের অসীম জীবনের রাজত্ব লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/আরআইপি

Advertisement