শিক্ষা

এইচএসসির রুটিন অনেক আগেই দিয়েছি, পেছানোর সুযোগ নেই

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা আগামী ১৭ আগস্ট শুরু হবে। কিন্তু এক সপ্তাহ আগে হঠাৎ কিছু শিক্ষার্থী পরীক্ষা দুইমাস পেছানোর দাবি তুলেছেন। পাশাপাশি তারা ৫০ নম্বরের পরীক্ষা ও আইসিটি বিষয় বাদ দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন।

Advertisement

এ দাবিতে সোমবার (৭ আগস্ট) তারা রাজধানীতে মিছিল করেন। রাজশাহীসহ কয়েকটি বিভাগীয় শহরেও কিছু শিক্ষার্থী একই দাবি নিয়ে মিছিল করেছেন।

তবে পরীক্ষা পেছানোর সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয়ক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) দুপুরে তিনি বলেন, এইচএসসি পরীক্ষার সিলেবাস ও রুটিন (সময়সূচি) অনেক আগেই প্রকাশ করা হয়েছে। প্রস্তুতিতে কারও কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। পরীক্ষা যথাসময়েই হবে। পেছানোর বা সিলেবাস সংশোধনের কোনো সুযোগ নেই।

Advertisement

২০২৩ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় বসতে যাওয়া শিক্ষার্থীরা মাত্র ১৫ মাস ক্লাস করার সুযোগ পেয়েছেন। ২০২২ সালের ২ মার্চ থেকে এ শিক্ষার্থীদের একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হয়। আর চলতি বছরের ৩০ মে তাদের নির্বাচনী পরীক্ষা শুরু হয়।

নির্বাচনী পরীক্ষার পর দ্বাদশ শ্রেণিতে আর ক্লাস নেওয়া হয়নি। ফলে এক বছর তিনমাস ক্লাস করে পূর্ণ নম্বরের পরীক্ষায় বসতে হচ্ছে এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের। সংশোধিত সিলেবাসে পরীক্ষা হলেও প্রশ্নপত্র হবে স্বাভাবিক সময়ের মতোই। এতে শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি থাকতে পারে এবং পরীক্ষার ফলাফলে এর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদ ও অভিভাবকরা।

আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ 

যদিও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয়ক কমিটির সভাপতি তপন কুমার সরকারের দাবি, এটি কোনো সমস্যা নয়।

Advertisement

তার ভাষ্য, ‘এমনিতে এইচএসসির শিক্ষার্থীদের ১৮ মাসের বেশি ক্লাস নেওয়া হয় না। করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবার আমাদের একটু তো স্যাক্রিফাইস করতে হচ্ছেই।’

তপন কুমার সরকার মনে করেন, শিক্ষার্থীরাও এটা মানিয়ে নিয়েছে। শঙ্কায় না পড়ে বাকি দিনগুলোতে প্রস্তুতি নিয়ে ভালো করে পরীক্ষা দেওয়ার পরামর্শ ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যানের।

জানা গেছে, মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের মার্চ থেকে টানা প্রায় দেড় বছর দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সশরীর ক্লাস বন্ধ ছিল। এ কারণে শিক্ষাপঞ্জিতে এলোমেলো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, যা এখনো স্বাভাবিক হয়নি। ফলে শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতিও দূর হচ্ছে না।

এএএইচ/এমএইচআর/জিকেএস