নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আদালতে নেওয়া হয়েছে হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হককে।
Advertisement
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে নেওয়া হয় তাকে।
দুই নারী পুলিশ সদস্যসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য সমন জারি রয়েছে আজ। তারা হলেন, সোনারগাঁ থানার পুলিশ সদস্য নাসরিন ও উম্মে কুলসুম, লালবাগ থানার এস আই আব্দুল কাদির, মোহাম্মদপুর থানার এএসআই আজিজুল ইসলাম। এ ছাড়া রয়েল রিসোর্টের পাবলিক রিলেশন অফিসার আতিউল্লাহরও সাক্ষ্যগ্রহণের কথা রয়েছে।
দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ হবে। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাকে আবার কাশিমপুর কারাগারে পাঠানোর কথা রয়েছে।
Advertisement
আরও পড়ুন: মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ঝর্ণার ছেলেসহ ২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ
মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সবশেষ ৬ জুন সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। সেদিন মামলার বাদী কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার ছেলে চার্জশিটের ৩১ নম্বর সাক্ষী আব্দুর রহমানসহ দুইজন সাক্ষী দেন। এ মামলায় ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ২২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর প্রথম দফায় মামুনুল হকের উপস্থিতিতে কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার সাক্ষ্য নেন আদালত। একই সঙ্গে ওই বছরের ৩ নভেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলায় বিচারকাজ শুরুর আদেশ দেওয়া হয়।
২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওইসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে তাকে ঘেরাও করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর করেন এবং তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান।
Advertisement
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জ আদালতে মামুনুল হক
ঘটনার পর থেকেই মামুনুল হক মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করছিলেন। এরপর সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় মামুনুল হককে। পরে এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন ঝর্ণা। তবে ঝর্ণাকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করেন মামুনুল হক।
মোবাশ্বির শ্রাবণ/জেএস/এসএনআর/জিকেএস