ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের জরুরি বিভাগে ভাংচুরের ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী ও অন্যান্যদের কাছে অভিযুক্তদের বিষয়ে সাক্ষ্য শুনবে তদন্ত কমিটি। এজন্য একটি গণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
Advertisement
সোমবার (৭ আগস্ট) তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিন জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, অভিযুক্তদের বিষয়ে কারো কোনো বক্তব্য থাকলে ১৫ আগস্টের মধ্যে তদন্ত কমিটির আহ্বায়কের কাছে লিখিত বা মৌখিকভাবে জানাতে বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে তথ্য প্রদানকারীর নাম গোপন রাখা হবে।
আরও পড়ুন: মধ্যরাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে ভাঙচুর
Advertisement
বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা গেছে, ১০ জুলাই আইন বিভাগের তিন ছাত্র রেজোয়ান সিদ্দিক কাব্য, সালমান আজিজ, আতিক আরমান মেডিকেল সেন্টারের জরুরি বিভাগ ভাংচুর করে। এছাড়াও কর্তব্যরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ভয় দেখিয়ে এবং জোরপূর্বক অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভারকে নিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের হন। এ বিষয়ে মেডিকেল সেন্টারের ডা. ওয়াহিদুল হাসান (মিল্টন), অফিস সহায়ক জাহাঙ্গীর আলম, ওয়ার্ডবয় এমদাদুল ইসলাম, আনসার সদস্য মিলন ও অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার শাহিন প্রশাসন বরাবর অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতেই তদন্ত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্তদের ১৫ জুলাই ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভার সিদ্ধান্তক্রমে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এর আগে ২০২২ সালের ১৮ জুলাই রাতে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে ছিনতাই ও এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে সাংবাদিকদের হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্রসহ মহড়া দেন কাব্য। পরে পুলিশ তাকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তখন সাময়িক বহিষ্কারও করা হয়েছিল।
রুমি নোমান/জেএস/জিকেএস
Advertisement