দেশজুড়ে

বান্দরবানে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, বিদ্যুৎ নেই বেশিরভাগ এলাকায়

বান্দরবানে অতিবৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে অন্তত কয়েকশ বসতঘরে ঢুকে পড়েছে নদী ও পাহাড়ি ঢলের পানি।

Advertisement

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলায় টানা ছয়দিনের প্রবল বর্ষণে জেলা সদরের বালাঘাটা, কালাঘাটা, ক্যাচিংঘাটা, বনানি স’ মিল, আর্মিপাড়াসহ নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার কোনারপাড়া, আলীকদমে চৈক্ষ্যং ইউপি এলাকা, লামার কয়েকটি এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। সাঙ্গু নদীতে বিপৎসীমার ওপরে পানি প্রবাহিত হওয়ায় উপকূলে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সদর উপজেলার অন্তত ১০০ বসতঘরে বন্যার পানি প্রবেশ করায় তারা অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন।

থানচি সড়কের বাসচালক মো. নাছির জানান, বান্দরবান-থানচি সড়কের ১২ মাইল এলাকায় পাহাড়ধসে সড়কে গাছ পড়েছে। এতে বান্দরবান থেকে রুমা-থানচি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

আরও পড়ুন: সাঙ্গুর পানিতে ডুবছে ঘরবাড়ি, গাছ পড়ে রুমা-থানচি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

Advertisement

বান্দরবান সদরের ক্যাচিং ঘাটা এলাকার বাসিন্দা ওসমান আলী বলেন, তার ঘরের দ্বিতীয় তলা পানিতে ডুবে গেছে। ঘর থেকে কিছুই বের করতে পারেননি।বাধ্য হয়ে ক্যাচিং ঘাটা সাইক্লোন সেন্টারে আশ্রয় নিয়েছেন।

আলীকদম উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম জানান, মাতামুহুরী নদীর পানিতে চৈক্ষ্যং ইউপি পরিষদ এলাকার সড়ক প্লাবিত হয়ে আলীকদমে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

বান্দরবান সদরের বাসিন্দা রামপদ দাস বলেন, ‘গতরাত থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। এমনকি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমেও টাকা তুলতে পারছি না।’

এ পর্যন্ত বান্দরবানে পাহাড়ধসে ছয়জন আহত ও অর্ধশতাধিক ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রশাসন থেকে ১৯২টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তবে মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ থাকায় আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে মোট কতজন আশ্রয় নিয়েছেন তা জানা যায়নি। প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

Advertisement

নয়ন চক্রবর্তী/এসআর/জেআইএম