জাতীয়

বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠতে সবচেয়ে বেশি অবদান বঙ্গমাতার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, আমাদের বঙ্গবন্ধুকে বঙ্গবন্ধু করার জন্য যিনি সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছেন তিনি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। জীবনের দীর্ঘ সময় বঙ্গবন্ধু কারাগারে ছিলেন। যখনই তিনি কারাগারে যেতেন বঙ্গমাতা একটি নোটবই, খাতা-কলম দিয়ে দিতেন। এজন্যই আমরা পেয়েছি ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’সহ বিভিন্ন বই।

Advertisement

সোমবার (৭ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘বঙ্গবন্ধুর রেণু’র লোগো ও ওয়েবসাইট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারাগার যেহেতু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন, আমরা দেশের সব জেলখানার হিসাব নিয়ে দেখেছি, ৩০৫৩ দিন দেশের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ছিলেন বঙ্গবন্ধু। সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানে যে কয়দিন কারাগারে ছিলেন সে হিসাবও যুক্ত করতে হবে। তাহলেই বঙ্গবন্ধুর কারাবরণের সময়টা আপনারা পাবেন। আমাদের পুলিশের কাছে অনেক তথ্য ছিল, সেগুলো আমরা ছোট ছোট খণ্ড করে বই আকারে এরই মধ্যে বের করেছি, আরও বের করবো।

নিজের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কারাগারে থাকাকালীন বঙ্গমাতা আমাদের বললেন, তোমরা আন্দোলন আরও তীব্র করো। তাহলেই বঙ্গবন্ধুকে দ্রুত মুক্তি দেবে। তার দূরদর্শী চিন্তা এমনই ছিল। আমাদের ছাত্রনেতারা মাঝেমধ্যেই বঙ্গমাতার কাছে পরামর্শ নিতে যেতাম। ৭ মার্চের ভাষণ বঙ্গবন্ধু যখন শুরু করলেন অনেকে স্লিপ দিয়েছিল, তিনি সেগুলো চশমার নিচে রাখলেন। তারপর তিনি নিজের মতো করে ভাষণ শুরু করলেন। এ ভাষণ শুধু বাংলাদেশের নয়, এখন সারাবিশ্বের সম্পদ। বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলেন, হৃদয়ের উপলব্ধি থেকে ভাষণটি দিতে।

Advertisement

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জীবন ও কর্মভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘বঙ্গবন্ধুর রেণু’-এর লোগো ও ওয়েবসাইট উন্মোচন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন আহমেদ। হাসুমণির পাঠশালা নিবেদিত ও মারুফা আক্তার পপির পরিচালনায় নির্মিত হচ্ছে এ চলচ্চিত্র।

হাসুমণির পাঠশালার সভাপতি মারুফা আক্তার পপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, চলচ্চিত্র নির্মাতা মোর্শেদুল ইসলাম ও সাবেক সংসদ সদস্য প্রফেসর আব্দুল মান্নান প্রমুখ।

আরএসএম/এমকেআর/এএসএম

Advertisement