মূলধারার বাইরের স্বাস্থ্যশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান নিয়ন্ত্রণে বোর্ড হচ্ছে। এ বোর্ডের নাম হবে ‘বাংলাদেশ অ্যালাইড হেলথ শিক্ষা বোর্ড’। এজন্য একটি আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
Advertisement
সোমবার (৭ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশে স্বাস্থ্যশিক্ষার কাঠামো আছে, এমবিবিসিএ, বিডিএস, নার্সিং, ফার্মাসি এ জাতীয় শিক্ষার সুনির্দিষ্ট কাঠামো আছে। এগুলো পরিবীক্ষণ ও মান নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা আছে। কিন্তু এর বাইরে কিছু শিক্ষা থাকে। সেগুলোর মান নিয়ন্ত্রণ, পরীক্ষা পদ্ধতি ও পাঠ্যসূচির ভালো কাঠামো নেই।
তিনি বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা এত বেড়ে গিয়েছে যে তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। সেই বাস্তবতার আলোকে এ আইনটি উপস্থাপন করা হয়েছে। এটি মূলত এভাবে করা হয়েছে, একটি বোর্ড থাকবে, সেই বোর্ড এমবিবিএস, বিডিএস, নার্সিং, মিডওয়াইফারি, ফার্মাসি শিক্ষার বাইরে অন্য সহযোগী চিকিৎসা শিক্ষা ও অ্যালাইড হেলথ শিক্ষা কার্যক্রম মনিটরিং করবে। সে দায়িত্ব দিয়ে এই বোর্ড গঠন করা হবে।
Advertisement
এরই মধ্যে বাংলাদেশে তিনশোর বেশি প্রতিষ্ঠান আছে, যেগুলো স্বাস্থ্য খাতে কাজ করছে। এ বোর্ডের একজন চেয়ারম্যান থাকবে। এছাড়া মন্ত্রণালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদ ও বিভিন্ন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট ডিন পরিচালক থাকবেন। সরকারি মেডিকেল কলেজের একজন প্রিন্সিপাল ও সরকারি ডেন্টাল কলেজের একজন প্রিন্সিপালও থাকবেন। বেসরকারি মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং ইনস্টিটিউট থেকে একজন ও হেলথ টেকনোলজি থেকেও একজন থাকবেন। এভাবে ১৬ ক্যাটাগরির লোকজন বোর্ডে থাকবেন। তারা এই বোর্ড পরিচালনা করবেন।
চেয়ারম্যান বোর্ডের প্রধান নির্বাহী হবেন জানিয়ে মাহবুব হোসেন বলেন, আর রেজিস্ট্রার বলে একটি পদ থাকবে, যিনি প্রশাসনিক কাজের দায়িত্ব পালন করবেন। সরকার অনুমোদিত নির্দিষ্ট একটি অর্গানোগ্রাম থাকবে। সে অনুযায়ী নিয়োগ ও পদোন্নতি কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারবেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, অ্যালাইড হেলথ ব্যবস্থায় যখন কেউ সেবা নিতে চাইবে, তখন ফি আদায় করে তারা আয় করতে পারবেন।
আরএমএম/এমকেআর/এমএস
Advertisement