জাতীয়

এডিস মশা নিধনে প্রথমবারের মতো ঢাকায় বিটিআই কীটনাশক প্রয়োগ

এডিস মশার উৎস ধ্বংস করতে বিটিআই নামে নতুন একটি কীটনাশক প্রয়োগ শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। প্রথমবারের মতো এই কীটনাশক প্রয়োগ করা হচ্ছে।

Advertisement

সোমবার (৭ আগস্ট) রাজধানীর গুলশান-২ লেক সংলগ্ন এলাকায় এই কীটনাশক প্রয়োগ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

এই কীটনাশকের পুরো নাম ‘বাসিলাস থুরিনজেনসিস ইসরায়েলেনসিস’। এটি এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া। এই জৈবিক লার্ভিসাইড কার্যকরভাবে মশার লার্ভা ধ্বংস করে। এর বৈশিষ্ট্য হলো, এতে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই মানুষের শরীরে। শুধু তাই নয়, বিটিআই ব্যবহারে মানুষ, পোষা প্রাণী, জলজ প্রাণী, গবাদি পশু এবং উপকারী পোকামাকড়ের ক্ষতি হয় না বলে জানিয়েছে ডিএনসিসি।

বিটিআই কীটনাশক সিঙ্গাপুর থেকে আনা হয়েছে। এটি দেশটির বেস্ট কেমিকেল কোম্পানি লিমিটেড থেকে কেনা হয়। এই কীটনাশকের প্রতি কেজির দাম ৩ হাজার ৩৮৫ টাকা। দামি এই কীটনাশক কীভাবে ব্যবহার করতে হবে সে বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দিতে সিঙ্গাপুর থেকে সরবরাহকারী কোম্পানির একজন কর্মকর্তা ঢাকায় এসেছেন। আগামী পাঁচদিন তিনি মশক নিয়ন্ত্রণকর্মী এবং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেবেন।

Advertisement

ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, পাঁচ টন বিটিআই আনা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সড়কের পাশের নালা, লেক, খাল, বাসাবাড়ির বেজমেন্টে বিটিআই ছিটানো হবে। এখন যে পরিমাণ বিটিআই আনা হয়েছে তা দিয়ে আগামী তিন মাস পর্যন্ত এই কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে। তবে এর মধ্যে দ্বিতীয় চালানোর জন্য দরপত্র আহ্বান করবো।

তিনি বলেন, বিটিআইয়ের একটি প্যাকেটে ২৫ গ্রাম কীটনাশক থাকে। ১০ লিটার পানিতে এরকম তিন প্যাকেটের ৭৫ গ্রাম কীটনাশক মিশিয়ে ২৫-৫০ বর্গমিটার এলাকায় ছিটিয়ে দিতে হয়। কোনো স্থানে প্রথমবার দেওয়ার ১৫ দিন পর আবার বিটিআই প্রয়োগ করতে হয়।

এদিকে চলতি বছর দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এতে প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে মানুষ। সবশেষ রোববারও ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ৭৬৪ জন।

ফলে সব মিলিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩১৩ জনে।

Advertisement

এমএমএ/জেডএইচ/জেআইএম