নিরাপত্তা ত্রুটির অজুহাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পণ্যবাহী কোনো বিমানের সরাসরি যুক্তরাজ্যে প্রবেশে যে নিষেধাজ্ঞা দেশটির সরকার জারি করেছে তা প্রত্যাহারে বিবেচনার আশ্বাস পেয়েছে বাংলাদেশ। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীকে টেলিফোন করে এ আশ্বাস দিয়েছেন। শনিবার সকালে মাহমুদ আলীকে ফোন করেন ফিলিপ। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে দুই মন্ত্রীর মধ্যে কথা হয়। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নয়নে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য একযোগে কাজ করে যাচ্ছে বলে ব্রিটিশ মন্ত্রীকে অবহিত করেন মাহমুদ আলী। তিনি ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান, শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নয়নে একটি ‘উন্নয়ন পরিকল্পনা’ বাস্তবায়নের জন্যে বেসামরিক বিমান নিরাপত্তা বিষয়ক দু’টি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনের আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। সহসাই কোনো একটি কোম্পানির সঙ্গে এ চুক্তি চূড়ান্ত হবে।বাংলাদেশের গৃহীত উন্নয়ন পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়ে ব্রিটিশ মন্ত্রী আশ্বাস দেন, যুক্তরাজ্য সহসাই ঢাকা থেকে সরাসরি লন্ডনগামী কার্গোর উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবে। বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত ‘উন্নয়ন পরিকল্পনা’ ও দুই দেশের ঐতিহাসিক সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা ও লন্ডনের মধ্যে সরাসরি যাত্রিবাহী ফ্লাইট পরিচালনায় কোনো অসুবিধা হবে না বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।চলমান সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে একমতও হন দুই মন্ত্রী।নিরাপত্তা ত্রুটির অজুহাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি পণ্যবাহী কোনো বিমানের যুক্তরাজ্যে প্রবেশে মার্চের ৯ তারিখে নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেশটি। গত বছরের শেষ দিকে একই কাজ করেছে অস্ট্রেলিয়া। যুক্তরাজ্যের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ব্যবসায়ীরা ও কৃষিপণ্যের রফতানিকারকরা বড় রকমের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। এদিকে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারায় ১৩ মার্চ পদত্যাগ করেন সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম সানাউল হক। দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিবকেও। এসএ/এনএফ/এমএস
Advertisement