অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হুমায়ুন দিলাওয়ার তোশাখানা মামলায় পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে দোষী সাব্যস্ত করার পর ইসলামাবাদ পুলিশ প্রধানকে তাকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরিবর্তে ইমরান খানকে গ্রেফতার করেছিল পাঞ্জাব পুলিশ।
Advertisement
গ্রেফতারের পর পাঞ্জাব পুলিশ কঠোর নিরাপত্তায় ইমরান খানকে লাহোর থেকে নিয়ে আসে। এছাড়া আদালত রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেল সুপারকে ইমরান খানকে গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু তার পরিবর্তে ইমরানকে পাঞ্জাবের আটোক কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
ইসলামাবাদের ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশের (আইজিপি) জন্য জারি করা আদালতের আদেশে বলা হয়েছিল, আইজি’র অনুমোদন নিয়ে ইসলামাবাদ পুলিশ দোষী ইমরান খান নিয়াজিকে গ্রেফতার করবে ও উল্লেখিত সাজা কার্যকরের জন্য রাওয়ালপিন্ডির কেন্দ্রীয় কারাগার আদিয়ালায় পাঠাবে।
আদিয়ালা জেল সুপারিনটেনডেন্টের জন্য জারি করা অন্য একটি আদেশে বলা হয়েছিল, ইমরান খান নিয়াজিকে আদিয়ালা কারাগারে আপনার হেফাজতে গ্রহণ করে উল্লেখিত দণ্ড কার্যকরে এ পরোয়ানা প্রয়োজন। তবে ইমরান খানকে ইসলামাবাদ পুলিশ গ্রেফতার করেনি। এমনকি তাকে আদিয়ালা কারাগারেও আটক রাখা হয়নি।
Advertisement
পাঞ্জাব পুলিশ পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনকে জানিয়েছে, শনিবার (৫ আগস্ট) দুপুরেই আগেই লাহোর পুলিশকে তোশাখানা মামলার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। পশ্চিম ইসলামাবাদের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের রায় ঘোষণার পরপরই সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেফতার করার জন্য তাদের আদেশ দেওয়া হয়েছিল।
সূত্রটি বলেছে, একজন জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে গঠিত লাহোর পুলিশের একটি দলকে স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছিল। রায় ঘোষণার পরপরই তারা জামান পার্কে ইমরান খানের বাসায় পৌঁছেছিল।
সূত্রটি আরও জানায়, হেফাজতে নেওয়ার আগে ইমরান খানকে আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে, তাকে মারধর করা হবে না বা কেউ তার সঙ্গে কোনো ধরনের দুর্ব্যবহার করবে না। এরপরই ইমরানকে জ্যেষ্ঠ এক পুলিশ কর্মকর্তার গাড়িতে করে তার বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
যে দলটি ইমরান খানকে গ্রেফতার করেছিল তারা একপর্যায়ে তাকে লাহোরের ডিআইজি অপারেশনস ও এসএসপি অপারেশন্সের কাছে হস্তান্তর করে। তারপর কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে ইমরান খানকে ইসলামাবাদের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। লাহোর পুলিশ সন্ধ্যায় ইসলামাবাদ টোল প্লাজায় পৌঁছায়।
Advertisement
ইসলামাবাদ পৌঁছানোর পর এসএসপি অপারেশনস মালিক জামিল জাফর তার সুসজ্জিত পুলিশ বাহিনী নিয়ে ইমরান খানকে হেফাজতে নেন। এসএসপি জাফর তারপর তাকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে আটোক কারাগারে নিয়ে যান। আদালত কারাগারে স্থানান্তরের আগে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য ইমরান খানকে সরকারি হাসপাতালে নেওয়ার নির্দেশ দিলেও, তা মানা হয়নি।
সূত্র: ডন
এসএএইচ