জাতীয়

হাঁটু থেকে কোমর পানির নিচে চট্টগ্রাম মহানগর

তিন দিনের টানা বর্ষণে হাঁটু থেকে কোমর পর্যন্ত পানিতে ডুবেছে চট্টগ্রাম মহনগরের অধিকাংশ এলাকা। বাসা বাড়ি, দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিচতলায় ঢুকেছে পানি। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। রাস্তাঘাটে পানি জমে থাকায় অনেক সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। লোকজনকে হেঁটে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।

Advertisement

বৃষ্টিতে নগরীর চকবাজার, কাতালগঞ্জ, কাপাসগোলা, বাদুরতলা, শুলকবহর, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, মোহাম্মদপুর, বাকলিয়ার বিভিন্ন এলাকা, কেবি আমান আলী রোড, চান্দগাঁওয়ের শমসের পাড়া, ফরিদার পাড়া, পাঠাইন্যাগোদা, মুন্সীপুকুর পাড়, হালিশহর, আগ্রাবাদ সিডিএ, শান্তিবাগ আবাসিক এলাকা, ছোটপোল, ফিরিঙ্গিবাজার, রিয়াজ উদ্দিন বাজার, তিন পোলের মাথা, বিমানবন্দর সড়কের ড্রাইডকের সামনের রাস্তাসহ নগরীর অসংখ্য অলিগলি পানিতে তলিয়ে গেছে।

পাশাপাশি খাতুনগঞ্জে ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজারের আড়তগুলোতেও পানি ঢুকে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ভূমি ধসের আশঙ্কা, আশ্রয়কেন্দ্রে ২৫০ পরিবার

Advertisement

মুরাদপুর এলাকায় কথা হলে মো. শফি বলেন, সকালে বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের পশ্চিম অংশে কোমর পর্যন্ত পানি উঠেছে। অনেক গাড়ি পানিতে আটকা ছিল।

বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে কাতালগঞ্জ এলাকায় পথচারী আলাউদ্দিন বলেন, এখানে সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি ওঠে। বাসা বাড়ি দোকানপাটে পানি ঢোকে।

এদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রোববার সকাল ৯টার আগের ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ২১৮ মিলি বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। এই মৌসুমে এটিই সর্বোচ্চ বৃষ্টির রেকর্ড।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি পাল জানান, নিম্নচাপের কারণে চট্টগ্রাম ও আশপাশের এলাকায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এতে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে।

Advertisement

ইকবাল হোসেন/এমএইচআর/জেআইএম