দেশজুড়ে

চা-বাগানের ভেতরে লেক, অপরূপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ পর্যটকরা

পাহাড়ি টিলা সমৃদ্ধ মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার টেংরাবাজার থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটারের পথ। এরপরই পর্যটকদের নজর কাড়ে মাথিউরা চা বাগান। সারি সারি চা গাছের মাঝে লেক, বাগানের সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ।

Advertisement

নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো মেঘপুঞ্জের প্রতিচ্ছবি আর সবুজের ছায়া লেকের নীল জলে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে এই নয়নাভিরাম চা-বাগানে। দেখে মনে হতে পারে শিল্পির রং-তুলির আঁচড় লেগেছে জলের গায়।

চা বাগান দেখতে গিয়ে আঁকাবাঁকা পথ আর সবুজ বাগানের মধ্য দিয়ে হেঁটে বেড়ান দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসা পর্যটকরা। লেকের সৌন্দর্য মুগ্ধ করে তাদের। চা-বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ করতে সেখানে ঘুরতে যান আবু সুফিয়ান। তিনি বলেন, আমি সুযোগ পেলেই এখানে চলে আসি। পড়ন্ত বিকেলে আসলে বেশি আনন্দ পাই। সুন্দর পরিবেশ, ভালো লাগে।

আরও পড়ুন: নৌপথে থানচি ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা

Advertisement

কিশোরগঞ্জ থেকে ঘুরতে যাওয়া মাহবুবুল আলম বলেন, কাজের ফাঁকে সুযোগ পেয়ে ঘুরতে গেছেন তিনি। তিনি বলেন, যা দেখছি সবই ভালো লেগেছে। নিরাপদে ঘুরতে পেরেছি। সরাসরি কফির বাগানও দেখতে পেলাম। সবুজ চা বাগানের ভেতরে লেক যেন প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য ছড়িয়ে রেখেছে।

চা বাগানের বাবু লাল নামে এক শ্রমিক নেতা বলেন, প্রতিদিন ৫০ জনের মত পর্যটক ঘুরতে যান সেখানে। শুক্রবার ছুটির দিনে ভিড় একটু বেশি থাকে। তিনি বলেন, লোকজন আসলে আমাদেরও ভালো লাগে।

মাথিউরা চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক আবু সাইদ বলেন, স্থানীয়, এমনকি দূরের পর্যটকরাও ছুটে যান সেখানে। বাগান ঘুরে দেখতে মানা না করলেও সংরক্ষণের দায়িত্ব তাদের। তিনি আরও বলেন, মালিক পক্ষ ভ্রমণ পিপাসুদের অবাধে যাতায়াত পছন্দ করেন না। সীমাবদ্ধতার কারণে চা বাগানের পর্যটন স্পটগুলো উন্মুক্ত করে দেওয়া যায় না।

আব্দুল আজিজ/জেএস/এসএনআর/এমএস

Advertisement