দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রভাব পড়েছে রেস্তোরাঁ শিল্পে। সেজন্য নিত্যপণ্যের বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে শুল্ক ছাড়ের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য কমানোর উদ্যোগ নেওয়া এবং গরু, ছাগল ও ব্রয়লার মুরগির মাংস আমদানি করার অনুমতি চায় বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি।
Advertisement
শনিবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর পুলিশ কনভেনশন হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির নেতারা।
লিখিত বক্তব্যে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে মাছ, মাংস, ডিম, আলু, পেঁয়াজসহ বেশিরভাগ পণ্যের দামের লাগামহীন। মূল্যস্ফীতির কষাঘাতে পিষ্ট হচ্ছে সাধারণ মানুষ। গত কয়েক মাস ধরে ৮ শতাংশের বেশি হারে মূল্যস্ফীতি হচ্ছে। গত জুন মাসেও মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ। এতে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমছে, যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে রেস্তোরাঁ খাতে।
ইমরান হাসান বলেন, বেশিরভাগ রেস্তোরাঁর দৈনিক বিক্রি অনেকাংশে কমে গেছে। যা করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত রেস্তোরাঁ খাতের জন্য ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’র মতো। এ অবস্থায় কার্যকর বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ জরুরি। তাই, গরু, ছাগল ও ব্রয়লার মুরগির মাংস আমদানি করার অনুমতি দিতে হবে।
Advertisement
তিনি বলেন, নিত্যপণ্যের বাজারে বিদ্যমান সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি ছাড় দিয়ে দ্রব্যমূল্য কমানোর উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে টিসিবির মাধ্যমে রেস্তোরাঁ খাতে ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপণ্য বিতরণ করতে হবে। এ অর্থনৈতিক সংকটকালীন সময়ে রেস্তোরাঁ খাত টিকিয়ে রাখতে, ট্যাক্স ছাড়ের পাশাপাশি ট্যাক্সের হার কমানোর প্রস্তাব করছি। একই সঙ্গে ট্যাক্স আদায়ের নামে মাঠপর্যায়ে কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের হয়রানি থেকে রক্ষার দাবি জানাচ্ছি।
এ সময় রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি ওসমান গনি, যুগ্মসচিব ফিরোজ আলম সুমন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এনএইচ/এমএএইচ/এএসএম
Advertisement