লালমনিরহাটের ধরলা, সানিয়াজান, সিংগিমারী ও গিরিয়া নদীর অন্তত ৩০ পয়েন্ট দিয়ে পাথর-বালু উত্তোলন করছে একটি প্রভাবশালী চক্র। এতে করে ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে নদীপাড়ের বাসিন্দাদের।
Advertisement
স্থানীয়রা জানান, ২০১৩ সালে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপে পাটগ্রামে বন্ধ হয়ে যায় বালু ও পাথর উত্তোলন। ১০ বছরের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর এসব নদীতে ফের বালু উত্তোলন শুরু হয়েছে। প্রশাসনের লোকজনকে ম্যানেজ করে প্রকাশ্যে নদী থেকে পাথর-বালু উত্তোলন করছে তারা।
উপজেলার বুড়িমারী, শ্রীরামপুর, পাটগ্রাম ও জোংড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু-পাথর উত্তোলন চলছে। প্রতিদিন রাতে লাখ লাখ টন বালু-পাথর উত্তোলন করে রাতেই ট্রাক্টর-ট্রলি দিয়ে সরিয়ে নিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: বালু উত্তোলন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে
Advertisement
ধরলা পাড়ের বাসিন্দা তফিজার রহমান বলেন, রাত গভীর হলে নদীতে একযোগে সব মেশিন চালু হয়। শব্দে ঘুম হয় না। শিশুরাও জেগে ওঠে। বালি-পাথর উত্তোলনের ফলে আমরা কষ্টে আছি।
বানিয়াডাঙ্গী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হুদা বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে ধরলা নদী থেকে পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে ফসলের ক্ষতিসহ আবাদি জমি ভেঙে যাচ্ছে।
পাটগ্রাম আদর্শ কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শেখ মোহাম্মদ সহর উদ্দিন বলেন, বালু-পাথর উত্তোলনের ফলে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যায়। নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে জীব বৈচিত্র্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়। বিভিন্ন স্থাপনা হুমকির মুখে পড়ে।
আরও পড়ুন: পদ্মা তীর থেকে বালু উত্তোলন, ২ ব্যক্তির দণ্ড
Advertisement
পাটগ্রাম উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল ওয়াজেদ বলেন, পাথর তোলার ড্রেজার বন্ধে অভিযান জোরদার করা হবে।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, আপনি আসেন সাক্ষাতে কথা হবে। বালু-পাথর উত্তোলনে পুলিশ কোনো সদস্য জড়িত নেই। এটি সম্পূর্ণ ভুয়া কথা।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহ জান, বালু-পাথর উত্তোলনে প্রতিদিন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নতুন করে আর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না বলে ফোনটি কেটে দেন।
রবিউল হাসান/আরএইচ/জেআইএম