বিশিষ্ট লেখক, সমাজসেবক, রাজনীতিবিদ, সাবেক সংসদ সদস্য ও শিশু সংগঠক পান্না কায়সারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সরকারের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা।
Advertisement
শুক্রবার (৪ আগস্ট) সকালে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন)। পান্না কায়সার ১৯৫০ সালের ২৫ মে কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার পয়ালগাছা চৌধুরী বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।
মন্ত্রীদের মধ্যে পান্না কায়সারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।
আরও পড়ুন: পান্না কায়সার আর নেই
Advertisement
প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের মধ্যে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক প্রমুখ।
গণমাধ্যমে পাঠানো পৃথক পৃথক শোকবার্তায় মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যেদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
আরও পড়ুন: পান্না কায়সারের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
১৯৬৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি শহীদুল্লাহ কায়সারের সাথে তার বিয়ে হয়। সেদিন ঢাকা শহরে কারফিউ ছিল। পুরো দেশ তখনগণআন্দোলনে উত্তাল। শহীদুল্লাহ কায়সারের হাত ধরে শুরু করে তার প্রায় সাড়ে চার দশকের পথচলা আধুনিক সাহিত্যেরসঙ্গে, বাঙালি সংস্কৃতি আর প্রগতিশীল রাজনীতির সঙ্গে। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আলবদর বাহিনীর সদস্যরাশহীদুল্লাহ কায়সারকে তার বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। তারপর তিনি আর ফেরেন নি। এরপর পান্না কায়সার একা হাতে বড় করেতুলেন তার দু’সন্তান শমী কায়সার এবং অমিতাভ কায়সারকে।
Advertisement
আইএইচআর/এমএএইচ/এএসএম