দেশজুড়ে

একযুগ পর ফাঁড়া কাটছে ১১ কিলোমিটার সড়কের

পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের ৭০ কিলোমিটারের মধ্যে পাখিমারা বাজার থেকে আলীপুর পর্যন্ত দীর্ঘ ১১ কিলোমিটার সড়ক এখন খানাখন্দে ব্যবহারের অনুপযোগী। তবে সম্প্রতি সড়ক সংস্কার নিয়ে আদালত নিশেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করায় দ্রুত সড়কটি সংস্কারের কথা জানিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

Advertisement

একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মামলা চলমান থাকায় এই ১১ কিলোমিটার সড়ক দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে সংস্কার করতে পারেনি সড়ক ও জনপথ বিভাগ। মাঝে মধ্যে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে যানবাহন চলাচল উপযোগী রাখার চেষ্টা করলেও বর্তমানে আবারও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।

পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে পটুয়াখালী কুয়াকাটা মহাসড়কের পাখিমারা থেকে আলিপুর পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সেসময় ২০ কোটি টাকা চুক্তিতে কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিযুক্ত হয় খুলনার রূপসা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সড়কটি সংস্কারের পর চূড়ান্ত বিল দাবি করলে সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে ঠিকাদারকে ১২ কোটি টাকা পরিশোধ করেনি সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। সেসময় ঠিকাদারের ৮ কোটি টাকা আটকে দেয় সওজ। শিডিউলের শর্ত অনুযায়ী আবারও সংস্কারের জন্য বলা হলে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ করার বিষয়ে অস্বীকৃতি জানায়। এ নিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন করে এবং কমিটি সরেজমিনে তদন্ত করে সড়কের কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগের সত্যতা পায়। এতে করে ঠিকাদারের চূড়ান্ত বিল পরিশোধে আপত্তি জানায় তদন্ত কমিটি।

এ অবস্থায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রূপসা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের পরিচালক রাশেদুর রহমান ২০১৪ সালে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন। এর প্রেক্ষিতে আদালত সড়কটিতে সংস্কার কাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। আর এতেই সড়কটি দীর্ঘদিন যাবত সংস্কার করা হয়নি। তবে সম্প্রতি হাইকোর্ট ওই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেন।

Advertisement

পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ এম আতিক উল্লাহ জানান, সম্প্রতি উচ্চ আদালত সড়ক সংস্কারের নিশেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় সড়কটি সংস্কারের জন্য এরইমধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটি সংস্কারের জন্য মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এটি অনুমোদন হলেই দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়ক সংস্কারে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

আব্দুস সালাম আরিফ/এফএ/এএসএম