জাতীয়

পান্না কায়সারের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

বরেণ্য লেখক, বুদ্ধিজীবী, সাংস্কৃতিক সংগঠক, রাজনীতিক ও সাবেক সংসদ সদস্য শহীদজায়া অধ্যাপক পান্না কায়সারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Advertisement

শুক্রবার (৪ আগস্ট) সকালে এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

এর আগে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকাল আটটায় মারা যান পান্না কায়সার। তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

আরও পড়ুন: পান্না কায়সার আর নেই

Advertisement

পান্না কায়সার শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লা কায়সারে স্ত্রী। ১৯৬৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি তাদের বিয়ে হয়। সেদিন ঢাকা শহরে ছিল কারফিউ। পুরো দেশ তখন গণআন্দোলনে উত্তাল। শহীদুল্লা কায়সারের হাত ধরে তার পরিচয় আধুনিক সাহিত্যের সঙ্গে, রাজনীতির সঙ্গে। তার সংসার জীবন স্থায়ী হয় মাত্র দু’বছর ১০ মাসের মতো। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আলবদর বাহিনীর সদস্যরা শহীদুল্লা কায়সারকে তার বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। তারপর তিনি আর ফেরেননি।

এরপর পান্না কায়সার একা হাতে মানুষ করেন তার দুই সন্তান শমী কায়সার এবং অমিতাভ কায়সারকে। এছাড়া তিনি ১৯৭৩ সাল থেকে শিশু-কিশোর সংগঠন ‘খেলাঘর’র প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। ১৯৯০ সালে তিনি এই সংগঠনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন।

আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে পান্না কায়সারের অবদান অপরিসীম

পান্না কায়সারের জন্ম ১৯৫০ সালের ২৫ মে। তার আরেক নাম সাইফুন্নাহার চৌধুরী। তিনি ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।

Advertisement

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় অবদান রাখার জন্য ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হন বরেণ্য এ লেখক।

এমকেআর/জিকেএস