দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের কারাদণ্ডাদেশের বিষয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের উদ্যোগে সুপ্রিম কোর্টে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। সংবাদ সম্মেলন শেষে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা বলেন এ রায় মানি না, ফরমায়েশি রায় মানি না। সরকারের পতন নিয়ে অবৈধ সরকার মানি না মানবো না... এরই এক পর্যায়ে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে দুই পক্ষের (আওয়ামী লীগ ও বিএনপি) আইনজীবীরা প্রথমে ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন।
Advertisement
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট বারের দক্ষিণ হলে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা সংবাদ সম্মেলন করেন।
অন্যদিকে বাইরে আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীরা স্লোগান দিতে থাকেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে মিছিল নিয়ে বের হন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। প্রথমে তারা মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগের আইনজীবীদের মিছিলের দিকে যান। এরপর আবার মিছিল নিয়ে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা অবস্থান নিলে ধাক্কাধাক্কি হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সুপ্রিম কোর্টে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রীকে সাজার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন শেষে সরকার পতন ও ভোট ডাকাতির অভিযোগে বিক্ষোভ মিছিল করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। এ সময় আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরাও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার এসোসিয়েশন) সামনে অবস্থান নেন। তখন পাশ দিয়ে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরাও মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে মিছিল করতে থাকেন। এক পর্যায়ে স্লোগান-পাল্টাস্লোগান, ঠেলাঠেলি এবং শেষ দিকে ধাক্কাধাক্কি হয় দুই পক্ষের মধ্যে। এ সময় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকের কক্ষের নেমপ্লেট তুলে নেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।
Advertisement
এরই এক পর্যায়ে আওয়ামীপন্থি বেশ কিছু আইনজীবী সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি ও সম্পাদকের কক্ষে আশ্রয় নেন। এরপর আবার তারা বিভক্ত হয়ে মিছিল করতে থাকেন। সেখানে উভয়পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়।সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৯ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে তারেকের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণার আদেশ দেওয়া হয়। বুধবার (২ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
এফএইচ/জেএইচ/এএসএম